বিশেষ সিবিআই আদালতে পিছিয়ে গেল জিয়া খান মৃত্যু মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি ১৮ জানুয়ারি। অভিনেত্রী জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় বুধবারই আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। গোপন তথ্য মিডিয়ার সামনে ফাঁস করার কারণে আজ সিবিআই-এর তীব্র সমালোচনা করল আদালত।
আদিত্য পাঞ্চোলির পুত্র সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে আগেই জিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও তথ্য গোপনের অভিযোগ ছিল। কাল চার্জশিট প্রকাশ্যে আসার পর সামনে চলে আসে আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণও।
আরও খবর
চার্জশিট অনুযায়ী, মৃত্যুর কিছুদিন আগে সন্তানসম্ভবা ছিলেন জিয়া। আত্মহত্যার দু’দিন আগে জিয়া ছিলেন সুরজের সঙ্গেই। জিয়া সন্তানসম্ভবা এ কথা জানতে পেরে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তাঁরা। গর্ভপাতের জন্য ওষুধ খেয়ে রক্তপাতজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন জিয়া। সুরজের ভয় ছিল এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে শুরু হওয়ার আগেই তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে শেষ হয়ে যাবে। বাড়িতে নিজেই মৃত ভ্রূণটি টেনে হিঁচড়ে বার করে বাথরুমের কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেন তিনি। এই ঘটনার পরেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন জিয়া। তিন পাতার সুইসাইড নোটে জিয়া লিখেছিলেন, এর পর থেকেই সুরজ তাঁকে এড়িয়ে চলতেন। জিয়ার মা রাবেয়া দাবি, এই সময়েই জিয়া জানতে পেরেছিলেন যে তাঁরই এক বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠছে সুরজের। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন জিয়া। তাই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেন বলেই মনে করছে তদন্তকারীরা।
জিয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, হত্যা। বহুদিন ধরেই এই দাবি করে আসছেন জিয়ার মা রাবিয়া। বস্তুত তাঁর দাবির জেরেই এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। এই চার্জশিটের কথা সামনে আসার পরেই রাবিয়া খান বলেছেন, ‘‘এখানেই শেষ নয়, এখনও আরও তথ্য জানতে বাকি আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy