নুসরতকে তোপ শ্রীলেখার
নিখিল জৈনের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন বলে দাবি সন্তানসম্ভবা নুসরত জাহানের। তুরস্কের বিবাহ আইন ও ভারতে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য বিশেষ বিবাহ আইনের যুক্তি দিয়ে সেই কথা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত। কিন্তু তাঁর ও নিখিলের ‘বিয়ে’ বা ‘সহবাস’-এর ‘যুক্তি তক্কো গপ্পো’ কোনওটাই দু’জনের ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ নেই আর। নুসরতের বিবৃতি, নিখিলের পাল্টা বিবৃতি-তে নেটমাধ্যমে চর্চা তুঙ্গে। এই প্রসঙ্গে নুসরতকে 'ট্রোল' করতে নামলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও? তাঁর একটি পোস্ট দেখে তেমনই প্রশ্ন জেগেছে নেটাগরিকদের। আনন্দবাজার ডিজিটালের একটি লাইভে এসে সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন শ্রীলেখা।
তৃণমূল সাংসদ নুসরতের বিবৃতি প্রকাশ পাওয়ার পর বামপন্থী শ্রীলেখা মিত্র ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘বিজেপিতে আমি এতদিন যোগদান করিনি। বিজেপির সাথে লিভ-ইন এ ছিলাম। তাই বিজেপি ছাড়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না। ইতি মুকুল রায়’। শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে মুকুল রায় ও শুভ্রাংশুর রায়ের। সেই প্রসঙ্গে পোস্ট দিলেও তাতে নুসরতকে খোঁটা দিতে ছাড়েননি শ্রীলেখা। তবে কি কোনও ভাবে তিনিও অন্যকে ট্রোল করার জোয়ারে গা ভাসালেন?
ট্রোল করার অভিযোগ অস্বীকার করলেন অভিনেত্রী। শ্রীলেখার কথায়, ‘‘আমি সত্যি কথা বলেছি। আমি মনে করি, এক জন জনপ্রতিনিধি যদি অসততার আশ্রয় নেন, তা হলে সেটা অনুচিত। সেই প্রসঙ্গে আমার পোস্ট। নুসরতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি ভাবিত নই। কিন্তু এখন তাঁকে আমি কেবল এক জন অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে পারছি না। তিনি এক জন সাংসদ বটে।’’
একই সঙ্গে শ্রীলেখার মতে, যদি সব গুজব সত্যি হয়, তবে ‘বিয়ে’ ছেড়ে বেরিয়ে এসে অন্য এক মানুষকে ভালবেসে, তাঁর সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার ঘটনা প্রশংসনীয়। শ্রীলেখা বললেন, ‘‘নুসরত এবং আমার জগৎ ভীষণ আলাদা। কখনওই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও মন্তব্য আমি করব না। এটা আমার স্বভাব নয়। তাই এটা ট্রোলিং নয়। অসততার বিরুদ্ধে মুখ খোলা।’’ শ্রীলেখার প্রশ্ন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সংসদের রেকর্ড অনুযায়ী তিনি নিখিল জৈনকে বিবাহ করেছেন। আবার এখন বলছেন, তিনি বিবাহিত নন। সে কথা আগে স্বীকার করেননি কেন নুসরত?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy