সৃজিত ও প্রতিম।
ছবির চিত্রনাট্য চুরি নিয়ে এক সময়ে তাঁদের মধ্যে তিক্ততা বেড়েছিল। দিন কয়েক আগেও সেই সম্পর্কে কথা বলতেন এক পরিচালক। তবে সকলেই এখন ভাই-ভাই। কথা হচ্ছে পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্ত ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে। আসলে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গেলে বেশি দিন কাউকেই দূরে ঠেলে রাখা যায় না। প্রতিম ডি গুপ্তর আগামী ছবি ‘শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য’য় ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। প্রতিমের ‘আহারে মন’ ছবিতে একটি গানও লিখেছিলেন সৃজিত।
চরিত্রটি যখন ছোট, তখন সৃজিতকেই কাস্ট করলেন কেন? প্রতিমের জবাব, ‘‘চরিত্রটি ছোট বলে বেশি দৃশ্য দেওয়া যায়নি। আনকোরা মুখ হলে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করতে অনেক দৃশ্য দিতে হতো। কিন্তু সৃজিতের প্রেজ়েন্স দর্শকের নজরে রয়েছে। তাই লুক দেখেই দর্শক আন্দাজ করতে পারবেন, ওর চরিত্র কেমন হবে।’’
শোনা যায়, ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র চিত্রনাট্য বিতর্ক প্রসঙ্গে আনন্দ প্লাসে প্রতিম ডি গুপ্তের বয়ান বেরোনোর পরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর উপরে বেশ বিরক্ত ছিলেন। বারবার ফোন করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি প্রতিম। তখন সৃজিতের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি সামলানো হয়। সেই কারণেও কি ছবিতে সৃজিত? এসভিএফের সঙ্গে ছবি করার জন্য প্রতিমের সঙ্গে সংস্থার যোগাযোগ করিয়ে দেন সৃজিতই। যদিও পরিস্থিতির কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতিমের উত্তর, ‘‘একেবারেই নয়। সৃজিতকে অভিনেতা হিসেবেও ভাল লাগে। আগামী দিনে ওর সঙ্গে কাজ করতে চাই।’’ তিক্ততার দিন পেরিয়ে দুই পরিচালকই নিজেদের স্বকীয়তা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রতিমের কথায়, ‘‘আমরা ডিনারে যাই। সোশ্যালাইজ়িংও করি।’’ তবে কি বাঙালির মাছের ঝোলই মিটিয়েছে দুই পরিচালকের দূরত্ব?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy