ফাইল চিত্র।
আর্টিস্ট ফোরাম তৈরি হওয়ার বছরে সভাপতি হয়েছিলেন শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তার পরের বছর থেকে আমৃত্যু সভাপতি পদে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর পরে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফোরাম। দীর্ঘমেয়াদি না কি স্বল্পমেয়াদি সভাপতি নির্বাচিত হবেন, আপাতত তা জল্পনার স্তরে। ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক (সেক্রেটারি) শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘টলিউডের সিনিয়র শিল্পী যেমন রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চিরঞ্জিৎ প্রমুখের সঙ্গে যোগাযোগ করব। তাঁদের মতামতের উপরে ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাবে। রেজিস্টার্ড ট্রেড ইউনিয়নের আওতাভুক্ত ফোরাম। সেই সংস্থার সভাপতি না থাকলে নিয়মকানুন মেনে কী ভাবে এগোনো যাবে, সেই বিষয়ে কিছুই জানি না এখনও।’’
ফোরামের ছাতা ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। শিল্পীদের সমস্যা হলেই ফোরামের সদস্যরা ছুটে যেতেন ‘মাস্টারমশাই’-এর কাছে। শান্তিলাল বললেন, ‘‘শুধু কাগজে-কলমে নন, ফোরামের কাজে খুবই অ্যাক্টিভ ছিলেন সৌমিত্র জেঠু। দরকার হলে, দিশাহারা লাগলেই তাঁর কাছে ছুটে গিয়েছি। তিনিও সমস্যার সুরাহা না করে হাল ছাড়তেন না।’’
ছোট পর্দায় ঘণ্টা মেপে শুটিং আর নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে পারিশ্রমিক দেওয়ার ব্যাপারটি কার্যকর করার পিছনে ফোরাম যে আন্দোলন করেছিল, তার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সে কথা মনে করিয়ে দিলেন ফোরামের প্রাক্তন সম্পাদক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবক ছিলেন তিনি। শিল্পীদের সাহায্যে সব সময়ে এগিয়ে এসেছেন। এমনকি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়েও টেকনিশিয়ান স্টুডিয়ো বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদেও শামিল হয়েছিলেন।’’
অভিনেতার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই ফোরাম বিষয়ে আলোচনা করতে সৌমিত্রের বাড়ি গিয়েছিলেন শান্তিলাল ও শঙ্কর চক্রবর্তী। কিন্তু সেই বৈঠকের পরে তিনি আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন। একটি সংগঠন চালানোর জন্য যে দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার প্রয়োজন হয়, সেই অভাবই আপাতত ঘিরে রেখেছে সদস্যদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy