Advertisement
১৯ মে ২০২৪

কোর্ট-যুদ্ধ জিতে আজ ‘উড়তা’ হবে মুক্ত পঞ্জাব

বম্বে হাইকোর্টে ছাড় মেলার পরেও লড়তে হয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে। সেখানেই শেষ নয়। লড়াই গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি ও চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৬ ০৯:৩১
Share: Save:

বম্বে হাইকোর্টে ছাড় মেলার পরেও লড়তে হয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে। সেখানেই শেষ নয়। লড়াই গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। দফায় দফায় আইনি যুদ্ধের দীর্ঘ পর্ব পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত মুক্তির আগের দিন স্বস্তি পেলেন ‘উড়তা পঞ্জাব’ নির্মাতারা। তবে পঞ্জাবের মাদক চক্রের রমরমা নিয়ে তৈরি ছবিটিকে অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সেন্সর বোর্ডের বিরুদ্ধে, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে আরও এক প্রস্ত বিতর্ক।

প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপ থেকে বলিউডের অনেকেই অনুরোধ করেছেন, দর্শকেরা যেন ফাঁস হয়ে যাওয়া অনলাইন সংস্করণটি না দেখেন। অনুরাগ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘এ বারের লড়াইটা আলাদা। এটা সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে লড়াই। যদি আপনারা সেই দর্শক হন, যাঁরা ডাউনলোড করে ছবি দেখেন, তাঁদের আমি বলব শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তত ক্ষণে আপনারা বুঝতে পেরে যাবেন, এই ছবিটার জন্য টাকা খরচ করবেন কি না।’’

জালন্ধরের যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি গত কাল ‘উড়তা পঞ্জাব’ নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল, আজ তাদের আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। বিচারপতি আদর্শকুমার গয়াল এবং বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও বিষয়টি নিয়ে ফের পঞ্জাব অথবা হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বলে সংস্থাটিকে। কিন্তু ছবিটির মুক্তি রুখতে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে যে আবেদন এসেছিল, তা-ও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে— এই তথ্য জানার পরে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বলেছে, ‘একই সময়ে একটা বিষয় বিভিন্ন মঞ্চে উত্থাপন করা যায় না।’

কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইন্টারনেটে ‘উড়তা পঞ্জাব’-এর যে সংস্করণটি ছড়িয়েছে তার বাঁ দিকে লেখা রয়েছে, ‘ফর সেন্সর’। তা ছাড়া ডিজিটাল ঘড়িও (টাইম লগ) রয়েছে, যা ছবির দৈর্ঘ্য বুঝতে সাহায্য করে। শুধুমাত্র সেন্সরের জন্য জমা দেওয়া কপিতেই এটি থাকে। তাই ‘উড়তা’র নির্মাতাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি করানোর উদ্দেশ্যে সেন্সর বোর্ডই সেটি দু’ভাগে ভাগ করে অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে আমির খান বলেছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত জানি না যে, এটা সেন্সর বোর্ডেরই কপি কি না। যদি সেটা হয়ে থাকে, তা হলে অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার হবে।’’

সেন্সর বোর্ডের প্রধান পহলাজ নিহালনি বলছেন, ‘‘গোটা প্রক্রিয়াটা বোঝার চেষ্টা করুন। গুজবে কান দেবেন না।’’ সেন্সর বোর্ডের সিইও অনুরাগ শ্রীবাস্তব অবশ্য গোটা ঘটনাক্রম ব্যাখ্যা করে একটি চ্যানেলকে বুঝিয়েছেন, সেন্সর বোর্ডের পক্ষে ছবি ফাঁস করা অসম্ভব। তাঁর দাবি, সেন্সর বোর্ডের দু’টি আলাদা কমিটিকে যখন ছবি দেখানো হয়, তখন সেটি একটি হার্ড ড্রাইভে ভরে এনে চালানো হয়। হার্ড ড্রাইভটি আবার নির্মাতারা নিয়ে চলে যান, বোর্ডের কাছে কোনও কপি থাকে না। পরে কোর্টের নির্দেশে ‘উড়তা পঞ্জাব’-এর নির্মাতারা তাঁদের একটি ডিভিডি দিয়েছিলেন গত কাল সন্ধে ৬টায়। অথচ ছবিটি তার অনেক আগে, দুপুরেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। কাজেই, এখানে বোর্ডের ভূমিকা কোথায়?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE