চলে গেলেন মরাঠি তথা হিন্দি থিয়েটার এবং ফিল্মের অভিনেতা সুলভা দেশপাণ্ডে। বয়স হয়েছিল ৭৯। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন তিনি। শনিবার তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতেই মারা যান সুলভা। স্বামী খ্যাতনামা অভিনেতা-পরিচালক অরবিন্দ দেশপাণ্ডের আগেই মারা গিয়েছিলেন।
মরাঠি থিয়েটারের মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি ছিল চিরউজ্জ্বল। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার আন্দোলনের অন্যতম চরিত্র ছিলেন সুলভা। ‘রঙ্গায়নে’র মতো থিয়েটার গ্রুপের হয়ে বিজয় তেন্ডুলকর, বিজয়া মেহতা, শ্রীরাম লাগু এবং সত্যদেব দুবের মতো ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে এসেছিলেন তিনি। মরাঠি মঞ্চে তাঁর নিয়মিত অভিনয় এখনও বহু মুম্বইকরের স্মৃতিতে অমলিন। স্বামী অরবিন্দের সঙ্গে যৌথ ভাবে ১৯৭১-এ অবিষ্কার নামে থিয়েটারের দলও খুলেছিলেন তিনি।
মরাঠি থিয়েটার ছাড়াও তথাকথিত আর্টহাউস সিনেমায় সমান সাবলীল ছিলেন সুলভা। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘ভূমিকা’, সৈয়দ মির্জার ‘অরবিন্দ দেশাই কি আজিব দাস্তান’ বা মুজফ্ফর আলির ‘গমন’— সত্তরের দশকে একের পর এক অনবদ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরই পাশাপাশি, পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক সিনেমা আর টেলিভিশন সিরিয়ালেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন সুলভা। ২০১২-তে শ্রীদেবীর কামব্যাক ফিল্ম ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এ মিসেস গোড়বোলকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন তিনি। সাতের দশকেই ‘রাজা রানি কো চাহিয়ে পাসিনা’ ছোটদের জন্য একটি হিন্দি ফিল্ম পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। মরাঠি ও হিন্দি থিয়েটারে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৮৭-তে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান সুলভা দেশপাণ্ডে।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy