এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের কিছু নির্মম সত্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিবেক। ছবি: সংগৃহীত।
২০০৭ সাল। অ্যাকশন থ্রিলার ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’-তে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে বিবেক ওবেরয়কে বেছেছিলেন পরিচালক অপূর্ব লাখিয়া। তার পরই হুমকি পেতে থাকেন তিনি। বিবেককে ছবি থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রযোজকরাও। তবে পাশে থাকেন সঞ্জয় দত্ত এবং সুনীল শেট্টি। তাঁদের সমর্থনেই শেষ অবধি বিবেককে নিয়ে ছবিটি করতে পারেন অপূর্ব।তবে বিবেকের কেরিয়ার যে শেষ হতে বসেছিল তা আগেই আঁচ করেছিলেন অপূর্ব। এক সাক্ষাৎকারে তিনি খোলাখুলি টেনে আনেন সেই প্রসঙ্গ। বলেন, “বিবেককে সিনেমায় নেওয়ার পর প্রযোজকরা আমায় বলল অন্য কাউকে নিতে ওর জায়গায়, না হলে আমার সঙ্গেই কেউ কাজ করবে না! কিন্তু আমি কেন আমার কাজ থেকে সরে যাব? সঞ্জয় স্যর, সুনীল স্যর আমার পাশে দাঁড়ালেন তখন। আমিও ভাবলাম, ভবিষ্যৎ ভেবে লাভ নেই। আমার সিনেমা হিট হলে লোকে ঠিক ফিরবে আবার আমার কাছে।”
সে সময়ে বিবেক এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তবু ঐশ্বর্যার প্রাক্তন সলমন খানের হাত থেকে নিস্তার পাননি অভিনেতা। ২০০৩ সালের ১ এপ্রিল, এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের কিছু নির্মম সত্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিবেক। তাঁর দাবি ছিল, ঐশ্বর্যার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানতে পেরে অনবরত হুমকি দিয়ে গিয়েছেন সলমন খান। তাঁকে শুটিংয়ের সেটে গিয়ে চড় মেরে আসেন ঐশ্বর্যার প্রাক্তন, এমন অভিযোগও জানান। এর পর আরও প্রতিকূল হয়ে যায় বিবেকের পরিস্থিতি। তাঁকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে একপ্রকার বয়কট করা হয়। এই আবহে অপূর্ব তাঁকে ছবিতে নেওয়ায় অনেকেই অসন্তুষ্ট হন। কিন্তু সিদ্ধান্ত থেকে না নড়ে অপূর্ব জানান, বিবেক ভাল অভিনেতা। তাঁকে চরিত্রে মানাবে বলেই নিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে কে কী করছেন তা দিয়ে চরিত্র সাজানোর কথা ভাবছেন না বলেই জানান অপূর্ব। পরে এ-ও বলেন যে, “বিবেক দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। ওর মতো পেশাদার অভিনেতা বিরল।”
মুক্তির পর বিপুল প্রশংসা পেয়েছিল ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’। তবে বিবেক আর কাজ পাননি তেমন। শেষমেশ এক বছর বসে থেকে তিনি অভিনয় ছেড়ে ব্যবসায় মন দেন। বলিউডের অন্ধকার অধ্যায় এখনও ভুলতে পারেননি অভিনেতা। নানা সময়ে সেই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করেও নিয়েছেন বিবেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy