Advertisement
২১ মে ২০২৪

গব্বর হতে চেয়েছিলেন অমিতাভ, ধর্মেন্দ্রও!

১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট। অখ্যাত এক ছোট্ট গ্রাম রামগড় বদলে দিল বলিউডের ইতিহাস। ‘ঠাকুর’য়ের ডাকে জয় আর বীরু নামে দুই তরুণের ডাকাত ধরার সে গল্প হয়ে রইল বলিউডের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা হিট হিসাবে। সে দিনের সেই মেগাহিট ‘শোলে’র ৪০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে শনিবার। জন্মদিনের ২৪ ঘণ্টা আগে শোলের স্মৃতিচারণায় ডুবে গেলেন ডাকাত ধরা সেই দুই তরুণের অন্যতম জয়— অমিতাভ বচ্চন।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি অমিতাভ। —নিজস্ব চিত্র।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি অমিতাভ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৫ ১৫:৫৬
Share: Save:

১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট। অখ্যাত এক ছোট্ট গ্রাম রামগড় বদলে দিল বলিউডের ইতিহাস। ‘ঠাকুর’য়ের ডাকে জয় আর বীরু নামে দুই তরুণের ডাকাত ধরার সে গল্প হয়ে রইল বলিউডের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা হিট হিসাবে। সে দিনের সেই মেগাহিট ‘শোলে’র ৪০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে শনিবার। জন্মদিনের ২৪ ঘণ্টা আগে শোলের স্মৃতিচারণায় ডুবে গেলেন ডাকাত ধরা সেই দুই তরুণের অন্যতম জয়— অমিতাভ বচ্চন।
এক হাতে পিস্তল, অন্য হাতে বেল্ট। পাথরের উপর হাঁটতে হাঁটতে সেই বিখ্যাত উক্তি, “কিতনে আদমি থে?” শোলে-কে মানুষ যতটা মনে রেখেছে, ততটাই মনে রেখেছে গব্বর সিংহকে। চরিত্রটি এতটাই ভাল লেগেছিল যে, অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র প্রত্যকেই করতে চেয়েছিলেন ওই চরিত্রটি। “আমি সেলিম-জাভেদের কাছে চরিত্রটি পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। পরে ধর্মেন্দ্রও একই অনুরোধ করেছিল। কিন্তু, রমেশজী কাউকেই ওই চরিত্রটি দিতে রাজি হননি।”— দাবি করলেন অমিতাভের।
প্রথমে গব্বরের জন্য মনোনিত হন ড্যানি। কিন্তু অন্য একটি ফিল্মে ব্যস্ত থাকায় গব্বর হয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। চরিত্রটিকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য তরুণ ভাদুরির বিখ্যাত উপন্যাস ‘অভিশপ্ত চম্বল’ পড়েছিলেন আমজাদ। বইটি পড়েই চম্বলের ডাকাতদের সম্বন্ধে জেনেছিলেন তিনি।
১৯৫৪ সালে তৈরি হয় বিখ্যাত জাপানি সিনেমা ‘সেভেন সামুরাই’। মনে করা হয়, আকিরা কুরোসওয়া পরিচালিত সেই ছবি থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে শোলে তৈরি করেছিলেন রমেশ সিপ্পি। কিন্তু এত দিন এটা ছিল শুধুই এক গুঞ্জন। এত দিনের এই গুঞ্জন নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অমিতাভ। আর শুধু মুখই খুললেন না, শোলের সাফল্যের জন্য কুরোসওয়াকে কৃতিত্বও দিলেন তিনি।

শোলের জয়-বীরুর বন্ধুত্ব নিয়ে রয়েছে একাধিক গল্প। এ দিন অমিতাভের মুখে শোনা গেল তেমনই একটি। “শ্যুটিংয়ের ফাঁকে, এমনকী বাড়ি ফেরার পথেও ধর্মেন্দ্র আর আমি তাস খেলতাম। মাঝেমধ্যে তাতে যোগে দিতেন বাকিরাও।”— জানালেন সে দিনের জয়।

না জানা আরও একটি তথ্য এ দিন জানালেন বিগ বি। শোলের ক্লাইম্যাক্স নাকি ছিল একেবারেই আলাদা। সেখানে ঠাকুরের হাতে মরতে হয় গব্বররূপী আমজাদকে। কিন্তু বাদ সাধে সেন্সর বোর্ড। তাদের নির্দেশেই পাল্টাতে হয় ক্লাইম্যাক্স— পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া ডাকাত গব্বরকে।

যে ছবি ভারতের আট থেকে আশি অসংখ্য বার দেখে ফেলেছে সেই ছবিই তিনি সাম্প্রতিক কালে দেখেননি বলেও দাবি করলেন শাহেনশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE