ডিসেম্বরের এই সময়টায় ক্লাব বা বাড়ির লনে একটা পার্টি জমবে না, তা আবার হয় নাকি? তবে ক্রিসমাস, নিউ ইয়ার মানেই চিরাচরিত বার-বি-কিউ পার্টি এমনটা ভাবার দিন কিন্তু শেষ।
এ বারের পার্টি কি তা হলে অন্য রকম?
কর্পোরেটে কাজ করা সায়ন্তন বসু যেমন পার্টি হোস্ট করলেও কোনও রকম ঝামেলা ঘাড়ে নিতে নারাজ। “আমি পুণে, বেঙ্গালুরুতে দেখেছি ওরা খুব ঝুটঝামেলাহীন পার্টি করে। ডেকরেশনের দায়িত্ব নিজেরাই নেয়। কিন্তু খানাপিনার দায়িত্ব অন্যদের। এ বার ভেগাস থিমড পার্টি করার ইচ্ছে আছে। আমার এক বন্ধুর সংস্থাকে দায়িত্বও দিয়েছি। ”
কিন্তু থিমের ভিড়ে থিমটাও কেমন যেন একটু পুরনো আইডিয়া হয়ে যাচ্ছে না? আবার এমনও তো নয় যে-কোনও থিম হলেই ক্লায়েন্টরা মেনে নেবে।
শহরের এক খ্যাতনামা সংস্থার ইভেন্ট ম্যানেজার নীত পল বললেন, “দেখুন, ক্লায়েন্টরা কমবেশি বার-বি-কিউ, বনফায়ার পছন্দ করেন শীতের সময় বলে। তবে থিমের ক্ষেত্রে আমরা প্রতি বছরই কিছু নতুনত্ব আনার চেষ্টা করি। ক্লায়েন্টরাও অনেক সময় আইডিয়া শেয়ার করেন।”
পার্টির ধাঁচ অনুযায়ী নানা গেমস-এরও ব্যবস্থা রাখেন তাঁরা। “উইন্টার গারমেন্টস ফ্যাশন শো যেমন বেশ পপুলার। লেটস টেকিলা নামে একটা টেকিলা শট গেম-ও থাকে,” কথায় কথায় জানান নীত।
পুণের সফ্টওয়্যার ফার্মে কাজ করা অন্বেষা বললেন, “পার্টিতে ককটেল ডিনার আমার খুব একটা পছন্দ নয়। রেড ওয়াইন আর বার-বি-কিউ আমরা সব সময়ই রাখি।” গত বছর হুকা থিমড পার্টি করেছিলেন অন্বেষারা। বলেন, “মিউজিকটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। পার্টিমুড সেট করতে ন্যাট কিং কোল বা মার্সেলিসের জ্যাজ তাই মাস্ট।”
আর এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্তা শৌভনিক নন্দাজানালেন পুরনো নয়, চ্যালেঞ্জিং থিম নিয়েই এক্সটেনসিভ কাজ করেন তাঁরা। “আমরা প্রচুর কান্ট্রি থিম রাখি। ফ্লাওয়ার পাওয়ার থিমটাও ইদানীং বেশ জনপ্রিয়। আগে যুদ্ধশেষে ফুল দিয়ে বন্দুক সাজানোর রেওয়াজ ছিল। সেই রেওয়াজ মেনেই এই থিম,” বলেন তিনি।
কথাপ্রসঙ্গে জানান, “মেক্সিকান বা ভেগাস থিমও ক্লায়েন্টদের খুব পছন্দ। পার্টিতে ওয়েলকাম গিফট তো থাকেই। আর খুব এন্টারটেনিং সব স্টেজ প্রোডাকশনও রাখা হয়। প্রাইভেট ডান্স, ফরেন ডান্সেরও ব্যবস্থা থাকে। আর কী জানেন মেয়েরাই এনজয় করে বেশি।”
ক্রিসমাস কাল। বছরশেষের ঘণ্টা বাজতেও বেশি দেরি নেই।
এ বারের পার্টিটা তা হলে এ ভাবেই করছেন তো?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy