কলকাতা ১৭২/৬ (২০ ওভার)
হায়দরাবাদ ১৫৫/৬ (২০ ওভার)
ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে জয়ে ফিরে দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই জয় ধরে রাখল গম্ভীর অ্যান্ড ব্রিগেড। বোলারদের দাপটে ১৭ রানে সহজ জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৭২ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৫৫তেই শেষ হয়ে গেল চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস।
ইডেনে টস জিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টস জিতে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার বলে, ‘‘কলকাতার এই উইকেটে রান তাড়া করতে চাই আমরা।’’ হায়দরাবাদ দলে দুটো পরিবর্তন করেছেন ওয়ার্নার। মুস্তাফিজুর রহমানকে একম্যাচ খেলেই বাইরে বসতে হচ্ছে। মু্স্তাফিজুর ও বিজয় শঙ্করের পরিবর্তে দলে নেওয়া হয় মোয়সেস এনরিকে ও বিপুল শর্মা। কলকাতা দলে একটি মাত্র পরিবর্তন হয়েছে। পীযুশ চাওলার জায়গায় দলে এসেছেন কুলদীপ যাদব।
ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে পঞ্জাবকে সহজেই হারিয়ে দিয়েছিল গৌতম গম্ভীর অ্যান্ড ব্রিগেড। এ বার সামনে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে জয়ের ধারা ধরে রাখতে মরিয়া নাইট বাহিনী।
আরও খবর: ‘ওপেনার’ নারাইনের জন্যও তৈরি ওয়ার্নাররা
ইডেন গার্ডেনে পরে ব্যাট করে কখনও হারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্ত এই দিনটি একটু অন্যরকম ছিল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট জুটেছিল ভাগ্যে। শুরুটা তেমন ভাল হল না। পঞ্জাব ম্যাচে নারিন ফাটকা যে ভাবে কাজে লেগে গিয়েছিল হায়দরাবাদ ম্যাচে সেটা লাগল না। মাত্র ৬ রান করেই প্যাভেলিয়নে ফিরে যান তিনি। ১৫ রানে আউট হন আর এক ওপেনার অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। দুই ওপেনার ভরসা দিতে না পারলেও কেকেআর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন রবিন উথাপ্পা ও মনীশ পাণ্ড্য। ৩৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন উথাপ্পা। মনীশের রান ৪৬। এই দু’জন আউট হতে ব্যাট হাতে একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৫ বলে ২১ রান করে কলকাতার ইনিংসকে সচল রাখেন ইউসুফ পঠান। অপরাজিতও থাকেন তিনি। সূর্যকুমার যাদব চার ও গ্র্যান্ডহোম কোনও রান না করেই ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। নির্ধারিত ওভারে কলকাতার ইনিংস শেষ হয় ১৭২/৬এ। হায়দরাবাদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। একটি করে উইকেট আশিস নেহরা, বেন কাটিং ও রশিদ খানের।
উথাপ্পার ব্যাট থেকেই এল রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভরসা দিতে পারেননি হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও শিখর ধবন। ওয়ার্নার ২৬ ও ধবন ২৩ রানে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। তিন নম্বরে নেমে মোজেস এনরিকস ফেরেন ১৩ রানে। দীপক হুদাও আউট হন ১৩ রানে। এর পর হায়দরাবাদকে কলকাতার মাঠে ভরসা দিতে শুরু করেন যুবরাজ সিং। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকেননি। ২৬ রান করে আউট হন তিনি। তখন থেকেই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে দেয় কলকাতা। কলকাতার হয়ে জোড়া উইকেট নেন ক্রিস ওকস। একটি করে উইকেট নেন সুনীল নারিন, কুলদীপ যাদব, ট্রেন্ট বোল্ট ও ইউসুফ পঠান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy