শেষ বলে চার মেরে পুণেকে জেতালেন ধোনি। ছবি পিটিআই
বিশ্বের সেরা ‘ফিনিশার’ এখনও ‘ফিনিশ’ হননি। সেটাই আবার প্রমাণ হয়ে গেল আইপিএলে শনিবার। ৩৪ বলে ৬১ রান করে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি শুধু পুণে সুপারজায়ান্টকে অবিশ্বাস্য জয়ই এনে দিলেন না, তাঁকে নিয়ে ওঠা যাবতীয় সমালোচনাকেও বাউন্ডারির বাইরে উড়িয়ে দিলেন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে যিনি এ দিন হারালেন, তিনি যেন সেই পুরনো ‘ফিনিশার’ ধোনি। ম্যাচটা একেবারে তাঁর সেই চিরাচরিত ঢংয়ে শেষ হল। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। চার মেরে জেতালেন ধোনি। এবং জিতিয়ে সেই ‘কুল কুল ধোনি’। যিনি এখন আর ক্যাপ্টেন না থাকতে পারেন, কিন্তু একই রকম ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের, অনাবেগী থেকে গিয়েছেন।
ধোনি শুরু করলেন নিজের স্লথ ভঙ্গিতে। ঠিক যে ভাবে শুরু করে থাকেন ‘ফিনিশার’। একটা সময়ে ২৩ বলে ২৬ করেন তিনি। তাঁর অপেক্ষাকৃত মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য আস্কিং রেটও বেড়ে যেতে থাকল। পুণের একটা সময় দরকার ছিল ৫৫ বলে ৯০ রান। সেখান থেকে সমীকরণ ভীষণই কঠিন হয়ে দাঁড়াল ১৮ বলে ৪৭। আর তখনই আবির্ভূত হলেন ‘ফিনিশার’। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কৃপণ বোলার ভুবনেশ্বর কুমারকে পিটিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন। ভুবনেশ্বরের ১১ বলে নিলেন ৩৫ রান। শেষের দুই ওভারে যে ভাবে তিনি ব্যাট করে গেলেন, ফের সেই বিশেষণগুলো ফিরে এল। ‘ভাবলেশহীন এমএসডি’, ‘মাহি মার রহা হ্যায়’ বা ‘কুল কুল ধোনি’। কে আর বলে যে, ফিনিশার শেষ!
আরও পড়ুন...
দ্রুতই চলে এল বিরাট প্রশংসাও
ধোনি শুধু ফিনিশারকে ফিরিয়ে আনলেন না, আইপিএলের দ্বৈরথও জমিয়ে দিলেন। টেবলের তলানিতে পড়ে থাকা পুণে উঠে এল চার নম্বরে। তাতে প্লে-অফের দৌড় চূড়ান্ত নাটকীয় আকার ধারণ করল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১৭৬ রান করেও হেরে ম্যাচ। তাদের বোলিং খুবই ভাল।
পুণের শেষ দু’ওভারে দরকার ছিল ৩০ রান। ধোনি এবং মনোজ তিওয়ারি তা তুলে দিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy