মুম্বই এখন যে কোনও অতিথি দলের কাছেই যন্ত্রণার জায়গা হয়ে গিয়েছে। এটা যেন লেপার্ডের খাঁচার ভিতরে ঢোকা। যেখানে প্রবেশ করার আগে চিড়িয়াখানার কর্মী আপনাকে সতর্ক করে দেবে, আপনি ভিতরে যেতে পারেন, কিন্তু বেরিয়ে আসতে পারবেন না। এ যেন কুমির ভর্তি নদী সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা। এ যেন বাজপাখির সামনে থেকে মাংসের টুকরো তুলে নেওয়ার দুঃসাহস। ওয়াংখেড়ে হল সেই বুবি ট্র্যাপ, যে ফাঁদে পা দিলে আপনাকে ভুগতেই হবে।
আজ, সোমবার যখন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়ে-তে নামবে পুণে, ওদের ক্রিকেটাররাও চাপে পড়ে যাবে। তা যতই ওদের টিমে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান (স্টিভ স্মিথ), অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার (বেন স্টোকস) এবং ফিনিশার (মহেন্দ্র সিংহ ধোনি) থাকুক না কেন। এই তিন জন মিলে পুরো সময়টা ব্যাট বা বল করতে পারবে না। বাকিরা কিন্তু চাপের সামনে ভেঙে পড়বে।
পুণের কাছে মুম্বই কেন বিশেষ অতিথিবৎসল জায়গা হবে না, তার কয়েকটা কারণ আছে। দিন পনেরো আগে এই পুণের কাছে এ বারের আইপিএলে একমাত্র ম্যাচটা হেরেছে মুম্বই। সেটা যে নিছকই দুর্ঘটনা ছিল, সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া থাকবে মুম্বই। ওরা বুঝিয়ে দিতে চাইবে, কেন ওরা ১৫ ওভারে দু’শো তুলে দিতে পারে বা ১৪১ রান করেও ম্যাচ জিততে পারে। কেন ওদের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেও ম্যাচ জেতা যায় না।
মুম্বই সম্ভবত এ বারের আইপিএলে সবচেয়ে আগ্রাসী ক্রিকেটটা খেলছে। দিল্লির বিরুদ্ধে ওরা যে রকম আগ্রাসী ক্রিকেটটা খেলেছে, সেটা সাধারণত টেস্টে দেখা যায়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নয়। মুম্বইয়ের খেলা দেখে মনে হচ্ছে, ওরা প্রতি ওভারে একটা বাউন্ডারি বা একটা উইকেটের খোঁজে আছে। আর সেই কাজটা করে দেখানোর মতো গোলাবারুদও আছে ওদের হাতে।
এটা বলছি না যে পুণে কোনও উন্নতি করেনি। শেষ দু’টো ম্যাচ জিতে ওরা এখানে আসছে। ওদের তরুণ ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠী ভাল খেলছে। ইমরান তাহির যেমন নাটকীয়তা এনেছে, তেমন উইকেটও তুলছে। স্মিথ আর স্টোকসের থেকে বড় স্কোর পাওয়ার সময় এসেছে। অজিঙ্ক রাহানেরও কিছু একটা করে দেখানোর সময় এসেছে। পুণে টিমে বড় বড় নামের অভাব নেই। মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে অভ্যুত্থান ঘটাতে কিন্তু এই মহাতারকাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy