জ্যোতিষ মতে একটা জাতচক্র পর্যবেক্ষণ করে, একজন জ্যোতিষ একজন জাতক জাতিকার ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান বলে থাকে। বাস্তবিক দিক থেকে ঐ একই জাতচক্র থেকে ঐ জাতকের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পোষ্য জীব-জন্তু সম্বন্ধে অনেক কিছুই বলা যায়। একটা জাতচক্রে ১২ টা ভাব থাকে। এবার লগ্ন হতে দ্বাদশ ভাব পর্যন্ত, প্রতিটা ভাব থেকে কোন কোন আত্মীয়-স্বজন বোঝায় সে বিষয় আলোচনা করে দেখব।
লগ্ন ভাব বা প্রথম ভাবঃ থেকে আমরা যে সব আত্মীয়-স্বজন পাই যেমন, পিতার ভাল কোনও সংবাদ, স্ত্রীর মৃত্যু, মামার বাড়ীর প্রতিবেশী, সন্তানের উচ্চশিক্ষা, দূর দেশে ভ্রমণ, মায়ের ভাল কোনও খবর।
দ্বিতীয় ভাবঃ বড় দাদা বা দিদির গৃহ, সম্পত্তি, গাড়ি কেনা-বেচা, পিতার রোগ ভোগ, মাতার লাভ, সন্তানের সাফল্য, স্ত্রীর বিপদ-আপদ, ছোট ভায়ের ক্ষতি ও মামার উন্নতি ও অবনতি।
তৃতীয় ভাবঃ সন্তানের লাভ বা সাফল্য, দাদা বা দিদির সন্তান লাভ, মায়ের ক্ষত বা রোগ ভোগ, ব্যাবসায়িক পার্টনারের বা স্ত্রীর দূর ভ্রমণ বা উচ্চশিক্ষা। ভ্রাতা-ভগ্নীর সাফল্য ও অসাফল্য।
পঞ্চম ভাবঃ মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থা, পিতার বিদেশ ভ্রমণ, স্ত্রীর আয় ও উন্নতি, মামার বিপদ-আপদ, জাতকের পরের ভাই বোন।
ষষ্ঠ ভাবঃ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার বিপদ, বিমাতা, মায়ের নিকট ভ্রমণ, ছোট ভাই বোনের যানবাহনের কেনাবেচা, পিতার ব্যবসা-বানিজ্য, প্রথম সন্তান সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়।
সপ্তম ভাবঃ স্বামী-স্ত্রী, জাতকের তৃতীয় ভাই বা বোন, মায়ের সম্পত্তি, পিতার কর্ম বা বৃত্তি, বড় ভাই বোনের দূর ভ্রমণ বা উচ্চশিক্ষা।
অষ্টম ভাবঃ কনিষ্ঠ ভ্রাতা-ভগ্নির রোগ ভোগ, পিতার উন্নতি, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু, পার্টনারের মৃত্যু।
নবম ভাবঃ বোনের স্বামী অথবা ভাইয়ের বৌ, মায়ের অসুস্থতা, ভাইয়ের বৌ, ভগ্নীর স্বামী, ছেলে মেয়ের আমোদ-প্রমোদ।
দশম ভাবঃ পিতা ও সন্তানের রোগ-ভোগ, স্ত্রীর পৈত্রিক সম্পত্তি, ভাই বোনের বিপদ-আপদ।
একাদশ ভাবঃ বন্ধু-বান্ধব, মায়ের স্বাস্থ্যও বিপদ-আপদ ও মৃত্যুর কারণ।
দাদ্বশ ভাবঃ স্বামী-স্ত্রীর অসুস্থতা, ভাইয়ের আর্থিক অবস্থা, মায়ের বিদেশ যাত্রা, ভাই বা বোনের কর্ম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy