Advertisement
০২ জুন ২০২৪

মানুষের বুড়ো আঙুলের সঙ্গে তার ব্যক্তিত্ত্ব জড়িত

বুড়ো আঙুল সম্বন্ধে জানার আগে, করতলে বিভিন্ন আঙুল সম্বন্ধে কয়েকটি বিষয় আমাদের জানা প্রয়োজন। মানুষের ক্ষমতা ও যোগ্যতা যা কিছু আছে তার প্রকাশের মাধ্যম হচ্ছে হাতের পাঁচটি আঙুল। আঙুল যত দীর্ঘ হবে মানুষের মধ্যে ততই অন্তর্নিহিত ক্ষমতা প্রকাশের ব্যাপারে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

অসীম সরকার
শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ০০:০১
Share: Save:

বুড়ো আঙুল সম্বন্ধে জানার আগে, করতলে বিভিন্ন আঙুল সম্বন্ধে কয়েকটি বিষয় আমাদের জানা প্রয়োজন। মানুষের ক্ষমতা ও যোগ্যতা যা কিছু আছে তার প্রকাশের মাধ্যম হচ্ছে হাতের পাঁচটি আঙুল। আঙুল যত দীর্ঘ হবে মানুষের মধ্যে ততই অন্তর্নিহিত ক্ষমতা প্রকাশের ব্যাপারে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। দৈঘ্যের দিক থেকে আমরা চার ধরণের আঙুল আমরা দেখে থাকি। (১) অতিদীর্ঘ আঙুল (২) মধ্যমদীর্ঘ (৩) অল্প দীর্ঘ (৪) মিশ্র দীর্ঘ।

অতিদীর্ঘ যাদের আঙুল, তারা বিশেষভাবে সব কাজ নিপুণ ভাবে করে থাকে। আত্মবিশ্বাস বেশী থাকার জন্য এরা কিছুটা বেপরোয়া হয়। আর যাদের মধ্যম দৈর্ঘ্য, এরা মাঝামাঝি ধরণের দক্ষতা কর্মে প্রকাশ করে থাকে। আর যারা অল্প দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আঙুল নিয়ে জন্মেছে, এরা কোনও কাজেই সে রকম দক্ষ নয়। মিশ্র আঙুল মিশ্র ফল দেয়।

বিবর্তনের মাধ্যমে আমরা এই বুড়ো আঙুল পেয়েছি। আজকের মানুষ, মানুষ হিসাবে যে বিকাশ লাভ করেছে তার পেছনে এই বুড়ো আঙুলের অবদান সব চেয়ে বেশী। অন্য আঙুলের মত বুড়ো আঙুলের তিনটি অংশ। প্রথম পর্ব করতলের সঙ্গে মিশে শুক্রের ক্ষেত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। মাঝের পর্ব ও তৃতীয় পর্ব অর্থাৎ যার পিছনে নখ আছে।

প্রথম পর্ব বা শুক্রের ক্ষেত্র, যার যত বড় এই ক্ষেত্র তার সজ্ঞান মনের শক্তি তত বেশী হবে। মাঝের পর্ব, যা আমাদের অর্ধ সজ্ঞান মনকে পরিচালনা করে।এই পর্ব যদি অন্য পর্ব থেকে বড় হয়, তবে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের সূচনা করে। এই অর্ধসজ্ঞার ক্ষেত্র যার বলবান, তার কাছে গেলে মনে হয় যেন একটা বলশালী ব্যক্তিত্বের কাছে এসেছি। এমন কি নতি স্বীকারও করা যায়। এবার তৃতীয় পর্ব, এই পর্ব মানুষের বিচার শক্তির পর্ব। সোজা কথায় আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে। নিজের কাম, ক্রোধ, লোভ, এই সবকে দমনে রাখে। এটি সেফটি ভাল্ভের মত কাজ করে। বুড়ো আঙুলের আকার যত বড় সে তত ব্যক্তি চরিত্রকে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা রাখে।

অন্য আঙুলদের ক্ষেত্রে, অন্য আঙুলগুলো যত কাছাকাছি থাকে ব্যক্তিত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে তত ভাল। কিন্তু বুড়ো আঙুলের ক্ষেত্রে, এটা ঠিক বিপরীত। বুড়ো আঙ্গুল অন্য আঙুল থেকে যত দূরে থাকে, জাতকের ব্যক্তিত্বের বিকাশ তত বেশী জোরালো হবে।

তর্জনীর গোড়া থেকে বুড়ো আঙুলের দূরত্ব যত বেশী হবে অর্থাৎ তর্জনী ও বুড়ো আঙুলের এই কোন যদি ৯০ ডিগ্রী হয় তবে সেই জাতক জাতিকাকে মন হবে স্বাভাবিক নমনীয়। ৯০ ডিগ্রীর বেশী হলে বোঝায় অতি নমনীয়। এরা খুব খোলামেলা প্রকৃতির। এরা বাইরের প্রকৃতির ভাল বা মন্দ না বুঝেই গ্রহণ করে।

আবার কারও যদি এই কোন ৪৫০ ডিগ্রীর নীচে হয় তাহলে সেইসব জাতক জাতিকার মনের বিকাশ সে ভাবে হয় না। এরা জড় চরিত্রের হয়। মন বিজ্ঞানীর ভাষায় এদের ‘ইমবেশাইল’(imbacile) বলে।

অনেক জাতকের গদার মত বেঁটে বুড়ো আঙুল দেখা যায়। এদের কান্ডজ্ঞাণ খুবই কম হয়, এরা রাগের বশে যখন তখন খুন খারাপ করতে পারে।

যাদের বুড়ো আঙুল বড় বা লম্বা তারা হৃদেয়ের চেয়ে মস্তিস্ক দ্বারা বেশী চালিত হয়। তারা যে কোনও ঘটনাকে নানা দিক দিয়ে বিচার করে। যাদের বুড়ো আঙুল বেশ বড় এবং অন্য আঙুলগুলো কনিকাল, তারা শিল্প-সাহিত্য যাই সৃষ্টি করুক না কেন, তার মধ্যে অনুভবের চেয়ে বুদ্ধির প্রভাব বেশী থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE