পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী জগতের মধ্যে বংশবিস্তার বা প্রাণীকুলের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক অর্থাৎ মিলন অপরিহার্য। মানুষ ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীকুলের মধ্যে যৌনমিলনের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও শৃংখলা বা বিধি-নিষেধ থাকে না।
মানব সমাজের প্রথম যুগে অন্যান্য জন্তু বা পশুদের মতোই ছিল নারী ও পুরুষের মধ্যেকার যৌনসম্পর্ক। তবে মানুষের সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ও সামাজিক শৃংখলা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য ‘বিবাহ’ নামক একটি বন্ধন বা প্রথার উদ্ভাবন হয়। যার মধ্যে বিশেষ কিছু বিধি-নিষেধ ও শৃংখলা আরোপিত হয়েছে।
জ্যোতিষে বিবাহ বিচার করার সময়-স্থান-পাত্র অনুসারে বিশেষ নিয়ম-শৃংখলাকে মাথায় রেখে ফলাদেশ করা হয়।
দেখে নেওয়া যাক বিবাহ শুভ ও অনুকূল হওয়ার যোগ (ব্যক্তিগত রাশিচক্র অনুসারে)
১। সপ্তমপতি শুভ-বলবান অবস্থায় প্রথম, পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম বা একাদশে থাকলে। সপ্তমভাবে যেন কোনও অশুভ বা দুঃস্থানপতি দৃষ্টি বা অবস্থানগত সম্পর্ক না করে।
২। সপ্তমভাবে শুভ গ্রহ, পঞ্চমপতি, নবমপতি, দশমপতি বা একাদশপতি, সপ্তমপতি যুক্ত হয়ে অবস্থান করলে।
৩। মেয়েদের রাশিচক্রে সপ্তমভাব বা ভাবপতি এবং সেই সঙ্গে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও রবি শুভস্থানে সবল হয়ে অবস্থান করলে।
৪। ছেলেদের জন্মকুন্ডলীতে সপ্তমভাব বা ভাবপতির সঙ্গে শুক্র ও চন্দ্র বলবান হয়ে শুভস্থানে থাকলে।
৫। সপ্তম ভাব শুভ হলে ও ভৌমদোষ না থাকলে।
উভয়ের রাশিচক্র মেলানোর ক্ষেত্রেঃ—
লগ্নঃ— চন্দ্রের পারস্পরিক শুভ অবস্থান।
উভয়ের রবি, বৃহস্পতি ও বুধের শুভত্ব বলবত্তা এবং অশুভ স্থানে অবস্থান।
পঞ্চম ও একাদশপতির পারস্পরিক শুভ অবস্থান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy