করতলের মাঝখানে, যে স্থানকে মঙ্গলের ত্রিভুজের ক্ষেত্র বলে, সেখান থেকে সাফল্যের রেখা যদি সবল ভাবে রবির মঞ্চে উপস্থিত হতে পারে, তা হলে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ৩২ বছরের কাছাকাছি সময়ে আর্থিক সাফল্য-সহ সম্মান ও যোগ্যতার মূল্য পাওয়া যেতে পারে। এখান থেকে রেখা ওঠার জন্য যতই পরিশ্রম করা যাবে ততই আশপাশের মানুষের থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা পাওয়া বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরিশ্রম না করলে সে ভাবে সহযোগিতা পাওয়া যায় না।
ভাগ্যরেখা থেকে এই সাফল্যরেখা যদি রবির মাউন্টে যায়, এটি বিশেষ সৌভাগ্যদায়ক চিহ্ন। ভাগ্যরেখার যে বয়স থেকে এই সাফল্যরেখা ওঠে, সেই সময় থেকেই সাফল্য আরম্ভ হয়। এটি প্রবল উন্নতির সূচকরেখা। এই সাফল্য যে যে লাইনে রয়েছে তার সেই লাইনেই উন্নতি হয়ে থাকে। প্রেমে, শিল্পে,রোমান্সে, চাকরিপ্রাপ্তি, কোনও সৃজনশীলতার কারণে পুরস্কার, আর্থিক লাভ সমেত নানা কাজে উন্নতির স্বীকৃতি পাওয়া বোঝায়।
যদি এই সাফল্যের রেখা শিরোরেখা ও হৃদয়রেখার ভিতরের যে কোনও স্থান থেকে উঠে থাকে, তাতে বোঝায় আপনি যখন সাফল্যের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যখন এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তখন প্রবল ভাবে আপনার ইচ্ছাশক্তি বেড়ে যাবে, আর তার ফলে লোকে আপনাকে এই সময় ভুল বুঝবে, কারণ আপনি আপনার লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য অন্যকে তাচ্ছিল্য করবেন, লক্ষ্যে পৌঁছবার জন্য কোনও কিছুকেই গ্রাহ্যের মধ্যেই আনবেন না। যখন লক্ষ্যে উপনীত হলেন তখন দেখলেন, সাফল্য এল, তার সঙ্গে অনেক শত্রুও এল।
সাফল্যের রেখার জন্ম যদি শিরোরেখা থেকে রবির স্থানে উপনীত হয়, তা হলে এই সাফল্য আসে মস্তিষ্কের দ্বারা। এই ভাবে উৎপন্ন রেখা খুবই সৌভাগ্যসূচক। অনেক বিখ্যাত মানষ এই রেখার অধিকারী। লেখাপড়ার জগতে এই সাফল্যরেখা নানা ধরনের পুরস্কার এনে দেয়। থিয়েটার, আর্ট,বিভিন্ন শিল্পকলা, অভিনয়, গান, মিউজিক, সাংবাদিকতা, বই লেখা, লেখালেখির মাধ্যমে যে সব পুরস্কার আসে, এ ছাড়া নৃত্য, সিনেমায় অভিনয়,বিভিন্ন ধরনের গবেষণায় সাফল্য সমেত নানা অ্যাকাডেমিক পুরস্কার এই রেখার মাধ্যমে পাওয়া যায়। এদের সাফল্য আসে ৩২ বছরের পর থেকে। এদের সামাজিক সংযোগ খুব ভাল থাকে।
আরও পড়ুন: হাতের এই সাফল্য রেখাই বলে দেবে আপনি জীবনে কতটা সফল হবেন (প্রথম অংশ)
এ বার হৃদয়রেখা থেকে উঠে রবির মাউন্টে যদি এই সাফল্যের রেখা যায় তবে রেখাটি দৈর্ঘ্যে অনেক ছোট হয়ে যায়, ফলে এই রেখা থেকে খুব বড় মাত্রায় সাফল্য আসে না, তা সে পুরস্কার বা অর্থমূল্য যা-ই হোক না কেন। এই সাফল্য অবশ্যই ৪২ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আসে। অনেক সময় কিছু চাকরি এই সময়ে হয়ে থাকে।
সাফল্যরেখা ছোট হতে হতে আরও ছোট হয়ে হৃদয়রেখাকে স্পর্শ না করে যদি রবির মাউন্টে উল্লম্ব ভাবে এক সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যে অবস্থান করে, তা হলে কর্মজীবনের শেষ দিকে এই রেখার জন্য অনেকে সাফল্য পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy