বাড়িতে ‘নেগেটিভ সত্তা’ থাকা মানেই ভাঙাচোরা বাড়ি, দেওয়াল ফাটা, বাড়িতে জঙ্গল, এই রকম ছবি তুলে ধরা হয়। বাস্তবে তার কিছুটা সত্য হলেও, অনেক ঝাঁ চকচকে নতুন ফ্ল্যাট বা বাড়ি আছে, যেখানে নেগেটিভ শক্তি থাকে। এই সব জায়গায় বাস করলে নানা বিপদ হতে পারে। এই ধরনের বাড়ি কী ভাবে চেনা যায়, তার বহু সঙ্কেত আমাদের বাস্তুশাস্ত্রে, জ্যোতিষ শাস্ত্রে, উল্লেখ করা আছে। এখানে সহজ কিছু সূত্রের উল্লেখ করা হল, যার মাধ্যমে এই উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। দেখে নেওয়া যাক সেই সব সূত্র:
১) যাঁদের জন্মছকে লগ্ন বা চন্দ্র রাহু/কেতু যুক্ত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী বা অমাবস্যায় জন্ম, তাঁরা খুব সহজেই নেগেটিভ শক্তি দ্বারা বিশেষ ভাবে আক্রান্ত হন।
২) জন্মছকের চতুর্থ ভাবে রাহু/কেতুর অবস্থান এবং দুর্বল চন্দ্র বা অন্যান্য ক্ষতিকর গ্রহের অবস্থান থাকলে, তিনি যে বাড়িতে বাস করবেন, সেই বাড়ি ‘হন্টেড’ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩) বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার দিন বা সময় দেখতে হবে যেন চন্দ্র বা লগ্ন কোনও ভাবে রাহু/কেতু সংযুক্ত না থাকে। রাহু/কেতু সংযুক্ত থাকলেই বাড়িটিতে নেগেটিভ শক্তি আসতে পারে।
৪) যে সব বাড়িতে অপঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, সেই বাড়িতে নেগেটিভ শক্তি প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন : ঋণ ঘটায় ষষ্ঠে গ্রহের অবস্থান, মুক্তির সহজ উপায় জানেন?
৫) এমন কোনও জায়গায় নতুন ফ্ল্যাট বা বাড়ি হয়েছে যেখানে আগে অনেক অপঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেই সব বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির রমরমা হতে পারে।
৬) যে বাড়িতে আচমকা বিনা কারণে আগুন ধরে যায়, সেখানে নেগেটিভ সত্তা বিরাজমান।
৭) কিছু বাড়ি আছে, যেখানকার বাসিন্দারা সব সময় প্রবল দারিদ্রে ভোগেন। এই ধরনের বাড়িতে প্রচুর নেগেটিভ প্রভাব থাকে।
৮) কিছু বাড়ি আছে, বিশেষ কিছু পূজা উপলক্ষে পাঁঠাবলি বা এই জাতীয় বলি হয়ে থাকে। এই সব বাড়িতেও নেগেটিভ শক্তির প্রভাব থাকতে পারে। এই শক্তিই বাড়ির লোককে প্রতি বছর প্রভাবিত করে বলির আয়োজন করতে।
৯) বাড়ি করতে গিয়ে ভিত কাটার সময়ে বাড়ির জমিতে যদি হাড়, মড়ার খুলি, নরকঙ্কাল পাওয়া যায়, তবে এই জমিতে বাড়ি না করাই ভাল। এতে প্রমাণ হয় এই স্থান নেগেটিভ শক্তি দ্বারা প্রভাবিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy