জলপ্রপাতের মধ্যে আটকে পড়া পর্যটকরা (চিহ্নিত)।
সহকর্মীদের সঙ্গে পিকনিক করতে গিয়ে মুম্বইয়ের চিনচোটি জলপ্রপাতে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। শনিবার সহকর্মীদের সঙ্গে ভাসাইয়ের তুঙ্গরেশ্বর জঙ্গলে ঘেরা জলপ্রপাতে যান কান্দিভলীর বাসিন্দা ভবেশ গুপ্তা। টানা বৃষ্টিতে জল বেড়ে যাওয়ায় আটকে পড়ে গোটা দল। টাল সামলাতে না পেরে জলের তোড়ে ভেসে যান ভবেশ। আশপাশে আটকে পড়া অন্তত ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়।
বর্ষায় পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় মুম্বই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে চিনচোটি জলপ্রপাত। জঙ্গল দিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা হেঁটে পাহাড়ের মাথায় এই জলপ্রপাতে পৌঁছতে হয়। শনিবার টানা বৃষ্টিতে জল বে়ড়ে যায়। ফলে মুম্বই ও ঠাণে থেকে ঘুরতে এসে আটকে পড়েন অনেকে। তাঁদের কেউ ছিলেন জলপ্রপাতের তলায়। বৃষ্টি দেখে অনেকে নেমে আসার চেষ্টাও করছিলেন। মৃত ভবেশ ও তাঁর সঙ্গে আসা আরও ২৬ জন জলপ্রপাতের কাছেই ছিলেন। তাঁদের ঘিরে ক্রমেই বাড়ছিল জলস্রোত। ভবেশরা যখন তা টের পান, তত ক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে গাছ ধরে ঝুলে ছিলেন সাত জন। ১৫ জন আশ্রয় নেন জলপ্রপাতের ঠিক নীচেই উঁচু পাথরে। পাঁচ জন ছিলেন জলধারার অন্য দিকে। হঠাৎ পাথরের উপর থেকে জলস্রোত টেনে নিয়ে যায় ভবেশকে। শক্তিশালী স্রোতে তলিয়ে যান তিনি।
বেলা আড়াইটে নাগাদ পুলিশের কাছে খবর আসে। উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল, পুলিশ ও দমকল। একটানা বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ কঠিন হওয়ায় আসে সেনার হেলিকপ্টারও। যার সাহায্যে উদ্ধার করা হয় ৩ মহিলা-সহ পাঁচ জনকে। ধীরে ধীরে জলবন্দি ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়। সচিন পাঠক নামের এক যুবকের কথায়, ‘‘জীবন মৃত্যুর মধ্যে আটকে ছিলাম যেন। এত স্রোত যে কোথাও নড়া যাচ্ছিল না। গাছের ডাল ধরে ঝুলছিলাম।’’ পুলিশ জানিয়েছে, গত বর্ষাতেও এখানে ৯টি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy