কুনো জাতীয় উদ্যান। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন জঙ্গল থেকে চোরাশিকার এবং গাছ কাটার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করল বন দফতর। কারহাল ফরেস্ট রেঞ্জ থেকে এই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।
বন দফতর জানিয়েছে, ধৃতেরা সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা। তাঁদের কাছ থেকে দু’টি কুড়ুল, দড়ি এবং শিকারের বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। কারহাল ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিক সত্যেন্দ্র সিংহ ধাকড় জানিয়েছেন, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
কুনো জাতীয় উদ্যানের শেষ সীমা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কারহাল ফরেস্ট রেঞ্জ। কুনোতে নামিবিয়ার চিতা ছাড়ার পর থেকে এই ফরেস্ট রেঞ্জও নজরদারির আওতায় চলে আসে। কিন্তু তার পরেও কী ভাবে ওই জঙ্গলে চোরাশিকারিরা গাছ কাটছিল এবং শিকার করছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বন দফতর সূত্রে এই ঘটনার স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে প্রথম দফায় ৮টি চিতা নিয়ে আসা হয়েছিল ভারতে। সেগুলিকে কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে ৬টি পূর্ণবয়স্ক এবং তিনটি শাবক চিতার মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই কুনো সংলগ্ন ফরেস্ট রেঞ্জ থেকে এ বার চোরাশিকার ধরা পড়ায় শোরগোল প়ড়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy