— প্রতীকী ছবি।
দিল্লি থেকে ফ্রাঙ্কফুর্টগামী বিমানে হুলস্থুল কাণ্ড। অভিযোগ, ১০ বছরের শিশুর পায়ে পড়ে যায় হট চকোলেট। তাতে শিশুর পায়ের অনেকটা অংশ পুড়ে যায়। শিশুর মা রচনা গুপ্তের অভিযোগ, ঘটনার পরেও বিমান সংস্থার তরফ থেকে চিকিৎসার ভার নেওয়া তো দূর অস্ত, খোঁজও নেওয়া হয়নি। যদিও বিমান সংস্থা এই অভিযোগ অস্বীকার করে শিশুর চিকিৎসার ভার নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
মা-বাবার সঙ্গে দিল্লি থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট যাচ্ছিল ১০ বছরের শিশুটি। মাঝ আকাশে এক জনকে হট চকোলেট দেওয়ার সময় অসাবধানতাবশত তা উল্টে পড়ে যায় সেখানেই বসে থাকা ১০ বছরের শিশুটির পায়ে। চিৎকার করে ওঠে শিশু। বিমানে হুলস্থুল পড়ে যায়। শিশুর মায়ের অভিযোগ, এত গরম খাবার গায়ে পড়ে যাওয়ার জেরে সন্তানের পায়ের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন’।
রচনার অভিযোগ, শিশুর গায়ে হট চকোলেট পড়ে যাওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট বিমানসেবিকা ক্ষমা পর্যন্ত চাননি। ফ্রাঙ্কফুর্টে নামার পর তাঁদের একটি অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেওয়া হয়। যেখানে কিছুই চেনা নেই তাঁদের। শিশুর গায়ে হট চকোলেট পড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও তার পরবর্তী অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে বিমান সংস্থাটি। তাদের দাবি, শিশুটির চিকিৎসার যাবতীয় ভার সংস্থা নিচ্ছে। ঘটনার জন্য আলাদা করে শিশুর মায়ের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে বিমান সংস্থাটি।
কখনও সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ, আবার কখনও মাঝ আকাশে মারামারি, শৌচালয়ে ঢুকে ধূমপান— আকাশে গোলমালের ঘটনা ইদানীং নিত্যনৈমেত্তিক হয়ে উঠেছে। তাতে নবতম সংযোজন শিশুর গায়ে হট চকোলেট পড়ে যাওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy