১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার বন্ধ হয়ে যাওয়া ১৮৬ টি মামলায় নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের জন্যও বলেছে শীর্ষ আদালত। ইন্দিরা গাঁধীর হত্যার ঘটনার পরে শিখদের উপরে হামলা হয়। কংগ্রেসের কিছু নেতার দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। ফলে কোর্টের এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।
ইন্দিরা হত্যার পরে শিখদের উপর হামলায় শুধু দিল্লিতেই বলি হন ২৭৩৩ জন। এই ঘটনা বছর বছর ধরে দেশের রাজনীতিকে উত্তপ্ত করেছে। বিশেষ করে, দাঙ্গায় কংগ্রেস নেতাদের একাংশের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় দলকে তার তাপ সইতে হয়েছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু দাঙ্গার পরে তিন দশকেরও বেশি সময় কেটে গেলেও দেখা গিয়েছে, হামলার ঘটনাগুলির অধিকাংশেরই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রও জানিয়েছিল, দাঙ্গার ২৫০টি মামলার মধ্যে তদন্ত বন্ধ হয়েছে ২৪১টির ক্ষেত্রে। এর পরে গত বছরেই মামলাগুলি খতিয়ে দেখতে নজরদারি কমিটি গড়ে শীর্ষ আদালত। ২৪১টি মামলার তদন্ত বন্ধ করতে সিট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে তা খতিয়ে দেখার জন্য কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নজরদারি কমিটি বন্ধ বাক্সে তাঁদের রিপোর্ট আদালতের সামনে পেশ করে। এতে দেখা যায়, ২৪১টি মামলার মধ্যে ১৮৬টি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিট— কোনও তদন্ত ছাড়াই। এর পরেই আজ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তদন্তের সেই বন্ধ দরজা খুলে দিয়েছে। আদালত আজ জানিয়েছে, ১৮৬টি মামলা নতুন করে খতিয়ে দেখবে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল। হাইকোর্টের এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এর নেতৃত্ব দেবেন ও এক প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সিট-এর সদস্য থাকবেন। কর্মরত এক পুলিশ কর্তা সিটের তৃতীয় সদস্য হিসেবে থাকবেন। সিট-এর সদস্য কাদের করা হবে, আজই তা জানানোর জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শিখ দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্থরা যাতে দ্রুত বিচার পায়, সে জন্য নতুন করে সিট গড়তে কোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ‘দিল্লি শিখ গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি’-র সদস্য গুরলাদ সিংহ কোহলন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy