মঙ্গলবার রাতে দিল্লির রাস্তায় দৃষ্কৃতীদের হামলায় নিহত হন (বাঁ দিকে) সাহিল মালিক নামে ২৫ বছরের এক যুবক। ছবি: সংগৃহীত।
মোটরবাইকের ধাক্কা মারায় বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন দিল্লির এক যুবক। ঝামেলা এড়াতে বাইক ফেলে সেখান থেকে পালান তিনি। পরে বাইকটি ফেরত নিতে গেলে ওই যুবকের দাদার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের দাদার। এমনই অভিযোগ করেছেন নিহতের আত্মীয়-পরিজনেরা। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় পুলিশি সহায়তা চেয়েও নিরাশ হতে হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও হামলায় জড়িত সন্দেহে ৩ অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
পশ্চিম দিল্লির নাঙ্গলোই এলাকার এই হামলার ছবি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। যদিও ওই ভিডিয়ো ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত যুবকের নাম সাহিল মালিক (২৫)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিম থেকে মোটরবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন সাহিলের ভাই বিশাল মালিক। অভিযোগ, নাঙ্গলোই এলাকার রাস্তায় এক জনকে ধাক্কা মারেন তিনি। তা নিয়ে বিশালের সঙ্গে এলাকার লোকেদের বচসা শুরু হয়। তাতে যোগ দেন ৮-১০ জন। সকলে মিলে বিশালের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে কোনও রকমে ওই এলাকায় বাইক রেখেই পালিয়ে যান তিনি।
বিশালের কাকা খলিল মালিকের দাবি, ‘‘ঝামেলার পর নাঙ্গলোই থানায় গিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন বিশাল। তবে কোনও পুলিশকর্মীই তাঁকে সাহায্য করেননি। পরে দাদাকে ফোন করে ওই বাইকটি নিয়ে আসতে বলেন বিশাল। ভাইয়ের ফোন পেয়ে রাতে সাহিল ঘটনাস্থলে যান।’’ অভিযোগ, সেখানেই ওই দৃষ্কৃতীরা সাহিলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁর উপর ছুরি দিয়ে হামলা চলে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন সাহিল। খলিলের আরও দাবি, ছুরির আঘাতেই রাস্তায় মৃত্যু হয় সাহিলের।
এই ঘটনায় অভিযোগের পর তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। ডিসিপি হরেন্দ্রকুমার সিংহ বলেন, ‘‘খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি আমরা। ৩ অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy