প্রতীকী চিত্র।
কাগজে কলমে দোষটা সন্তানদের। যদিও হায়দরাবাদে ধরে ধরেবাবা মায়েদের পাঠানো হচ্ছে শ্রীঘরে।
এতদূর শুনলে অনেকেরই হয়তো মনে হবে এ কি‘শিব ঠাকুরের আপন দেশ’ নাকি! যদিও হায়দরাবাদ পুলিশের বক্তব্য , গোটাটাই যান শাসনে অব্যর্থ দাওয়াই। গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের দাপাদাপি বন্ধ করতে হলে তাদের বাবা মায়েদের ধরতেই হবে।
মুখেতীর্যক হাসি ঝুলিয়ে সমালোচকরা বলতেই পারেন, এক জনের দোষে অন্য কাউকে গ্রেফতার! এ তো উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে। কিন্তু সমালোচকদের পাত্তা না দিয়েহায়দরাবাদে গত দু’মাসের মধ্যে অন্তত ২৬ জন অভিভাবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হায়দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, এঁদের মধ্যে ২০ জনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায়, তাঁদের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ঠিকানাও সেই শ্রীঘর। প্রত্যকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মোটের উপর একই রকমের।অত্যাধিক স্নেহের ফলে নাবালক ছেলেমেয়েদের হাতে তাঁরা গাড়ির চাবি তুলে দিয়েছেন।
কিন্তু ধমকেচমকে কি সমস্যার সমস্যার হওয়া সম্ভব? পুলিশের বক্তব্য, অভিযুক্ত বাবা-মা এবং ছেলেমেয়েদের কাউন্সিলিং-এর জন্য ডেকে প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি বিন্দুমাত্র। উল্টে অপ্রাপ্তবয়স্কদের গাড়ি চালানোর ঘটনা বেড়েই চলেছে। তারা যে শুধুমাত্র নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে, তা-ই নয়। পথচারীদের কাছেও নাবালক গাড়ি চালকের দল যেন মূর্তিমাণ ত্রাস। এ সপ্তাহের শুরুতেই কুশাইগুড়া এলাকায় গাড়িতে পিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন বছর আটচল্লিশের এক ফুটপাথবাসী। অভিযোগ, স্টিয়ারিং যাঁর হাতে ছিল, সে-ও একনাবালিকা।গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের দলে না কি ছিলেন জাঁদরেল এক পুলিশকর্তার মেয়ে।
মেয়ের অপরাধের জন্য সেই পুলিশকর্তাকে অবশ্য গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু একের পর এক দুর্ঘটনার পর হায়দরাবাদ পুলিশ বলছে, তাঁদের অভিযান চলতেই থাকবে। ছেলেমেয়েদের সামলাতে না পারলে, ফল ভুগতে হবে বাবা-মায়েদেরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy