Advertisement
১৮ মে ২০২৪

বিহারে জেলাশাসকের গাড়ি পিষে দিল পাঁচ জনকে, মৃত্যু তিন জনের, গুরুতর জখম দুই

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মাধেপুরার জেলাশাসক বিজয়প্রকাশ মীণা গাড়িতে করে দ্বারভাঙা থেকে মাধেপুরা আসছিলেন। আচমকাই চালক গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
পটনা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৯
Share: Save:

বিহারের মাধেপুরার জেলাশাসকের গাড়ির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিন জনের। গুরুতর জখম আরও এক। রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা তিন ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ দেখে শিউরে উঠেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনার পর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মাধেপুরার জেলাশাসক বিজয়প্রকাশ মীনা গাড়িতে করে দ্বারভাঙা থেকে মাধেপুরা আসছিলেন। আচমকাই চালক গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। গাড়িটি গিয়ে প্রথমে পিষে দেয় এক মহিলা এবং তাঁর সাত বছরের কন্যাকে। সেই সময় রাস্তার ধারে কাজ করছিলেন তিন জন। মহিলা এবং তাঁর কন্যাকে পিষে দিয়ে গাড়িটি ওই তিন জনকেও ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মহিলা, তাঁর কন্যা এবং আরও এক জনের মৃত্যু হয়। বাকি দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মধুবনির জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার তিন জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন গুড়িয়া কুমারী এবং আরতি কুমারী। আরও এক জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার পরই স্থানীয়রা ৫৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। জেলাশাসকের গাড়ি ঘিরে ফেলে ভাঙচুর চালান। কিন্তু ঘটনার পর পরই গাড়ি ফেলে চালক, জেলাশাসক-সহ গাড়ির আরোহীরা পালিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িতে জেলাশাসক ছাড়াও তাঁর দেহরক্ষী এবং এক মহিলা ছিলেন। এই দুর্ঘটনার পরই বেশ কয়েকটি বাইক আসে। তাতে চেপে সকলেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মাধেপুরার ডিপিআরও কুন্দনকুমার সিংহ জানিয়েছেন, কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE