—প্রতীকী চিত্র।
পুরী থেকে সামান্য দূরত্বে সম্বলপুর চিড়িয়াখানায় এ বার চিতা, সিংহের পাশাপাশি দেখা যাবে বাঘও। তীর্থ করতে এসে পুরীর জগন্নাথের মন্দিরের পাশাপাশি কোনারকের সূর্য মন্দির, ধবলগিরির শান্তিস্তূপ, নন্দনকাননের চিড়িয়াখানা দেখতে আসেন বহু পর্যটক। ওড়িশা সরকার সূত্রে খবর, পর্যটক টানতে সম্বলপুরের চিড়িয়াখানাটিকেও ঢেলে সাজার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামীদিনে এই চিড়িয়াখানায় নতুন প্রজাতির ৩০ রকমের পশুপাখি নিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই নন্দনকানন এবং সম্বলপুরের মধ্যে পশুপাখি বিনিময় শুরু হয়েছে। নন্দনকানন থেকে আটটি হগ ডিয়ার (চারটি স্ত্রী এবং চারটি পুরুষ) পাঠানো হয়েছে সম্বলপুরের চিড়িয়াখানায়। বদলে সেখান থেকে নন্দন কাননে এসেছে পাঁচটি সম্বর হরিন। সম্বলপুরে প্রচুর পরিমাণে সম্বর হরিণ রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি পুরুষ এবং তিনটি স্ত্রী হরিণকে নন্দনকাননে পাঠিয়েছে তারা। বদলে সম্বলপুরের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যে হগডিয়ার নিয়ে এসেছে তারা হল হরিণেরই প্রজাতি। তবে এরা সাধারণত লাফাঝাঁপি করে দৌড়ে বেড়ায় কম। কিছুটা ধীরস্থির প্রকৃতির এই হরিণ মাথা ঘাড় নীচু করে ঘুরে বেড়ায়। সামনে বাধা এলে লাফিয়ে পেরনোর বদলে নীচ দিয়ে গলে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
সম্বলপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানানো হয়েছে আগামী দিনে নীলগাই, বাইসন, নেকড়ে এবং বুনো কুকুর-সহ ৩০ রকম প্রজাতির প্রাণি আনা হবে। আপাতত এই চিড়িয়াখানায় ১৮ রকমের প্রজাতির পশু-পাখি রয়েছে। এর মধ্যে চিতাবাঘ, ভল্লুক, সম্বর, চৌসিংহ, কৃষ্ণসার, হরিণ, অজগর, ময়ূর এবং বিভিন্ন প্রজাতির রঙিন পাখি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সম্বলপুরের জেলা বনকর্তা। পুরী থেকে এই সম্বলপুর যাওয়ার একাধিক ট্রেন রয়েছে। ৬ঘণ্টার দূরত্বে ওড়িশার এই জেলাতেই রয়েছে চিড়িয়াখানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy