Advertisement
০১ জুন ২০২৪
School Boy

Accident: ‘আমি ঠিক আছি, একটু জল দেবে!’ বলেই বাবার কোলে ঢলে পড়েছিল চার বছরের সিদ্ধার্থ

মর্গের সামনে বসে অঝোরে কেঁদে চলেছেন সদ্য পুত্রহারা এক বাবা। বার বার মোবাইলে ছবিগুলি বার করে দেখছেন, আত্মীয়দের দেখাচ্ছেন, আর বুক চাপড়ে কাঁদছেন।

সংবাদ সংস্থা
গুরগাঁও শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৫৬
Share: Save:

মর্গের সামনে বসে অঝোরে কেঁদে চলেছেন সদ্য পুত্রহারা এক বাবা। বার বার মোবাইলে ছবিগুলি বার করে দেখছেন, আত্মীয়দের দেখাচ্ছেন, আর বুক চাপড়ে কাঁদছেন। শুধু ছেলের শেষ কথাগুলোই কানে ভাসছিল তাঁর— “পাপা, আমি ঠিক আছি। বাড়িতে যেতে চাই। আমাকে একটু জল দেবে।’” ব্যস, তার পর সব শেষ। চার বছরের সিদ্ধার্থ বাবার কোলেই নিথর হয়ে গিয়েছিল।

লোয়ার নার্সারিতে ভর্তি হয়েছিল সিদ্ধার্থ। গত ৫ এপ্রিল ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা গুলশন সিংহ। স্কুলবাসে করে যাতায়াত শুরু করেছিল সিদ্ধার্থ। কিন্তু গত সোমবার সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল। প্রতি দিনের মতোই স্কুল ছুটি হলে বাসে করে সিদ্ধার্থকে বাড়ির সামনে নামাতেন চালক। সোমবার সিদ্ধার্থ বাস থেকে নামতেই চালক বাস চালিয়ে দেন। সিদ্ধার্থ পড়ে গিয়ে বাসের তলায় চলে যায়। তার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকেরা ছুটে আসেন। দেখেন বাসের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে ছেলেটি।

তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় সিদ্ধার্থের। তখনই বাবাকে সিদ্ধার্থ বলেছিল, সে ঠিক আছে। বাড়ি যেতে চায়। তার পর একটু জল খেতেও চেয়েছিল। তার পর সব শেষ।

মঙ্গলবার মর্গের সামনে ছেলের দেহ নিতে এসেছিলেন গুলশন। কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “এত কিসের তাড়া ছিল চালকের? দু’মিনিটের তাড়ায় আমার ছেলের জীবন চলে গেল।” তাঁর দাবি, এর আগেও বেশ কয়কে বার ছেলে তাঁকে চালকের বেপরোয়া বাস চালানো নিয়ে বলেছিল। তাঁর কথায়, “যদি কোনও কন্ডাক্টর থাকতেন বা বাড়ির লোকেদের আসার অপেক্ষা করতেন চালক, তা হলে আমার ছেলেকে এ ভাবে চলে যেতে হত না।” স্কুল কর্তৃপক্ষকে গাড়িতে অ্যাটেনড্যান্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সে কথা শোনেননি বলেই অভিযোগ গুলশনের। বাসচালক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Boy Accident Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE