কর্নাটক পুলিশের এডিজি সি প্রতাপ রেড্ডি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘খুনের ঘটনার ধৃতদের নাম মহম্মদ কাসিফ, সৈয়দ নাদিম, আফসিউল্লা খান, রেহান শরিফ, আব্দুল আফনান এবং নিহান।’’ ২০ থেকে ২২ বছর বয়সি ওই যুবকদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অতীতে নানা অপরাধমূলক অভিযোগ আছে বলে জানান তিনি।
বজরং দলের যুবনেতা হর্ষ। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকের শিবমোগায় বজরং দলের যুবনেতাকে খুনের ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। পুলিশের দাবি, স্থানীয় ওই ছ’জন যুবকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। ধৃতদের মধ্যে তিন জন প্রত্যক্ষ ভাবে বজরং যুবনেতা হর্ষকে (২৫) খুনের ঘটনায় জড়িত।
রবিবার রাতে ওই খুনের ঘটনার পর শিবমোগার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অশান্তি ঠেকাতে শুক্রবার পর্যন্ত কার্ফুর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
কর্নাটক পুলিশের এডিজি সি প্রতাপ রেড্ডি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘খুনের ঘটনার ধৃতদের নাম মহম্মদ কাসিফ, সৈয়দ নাদিম, আফসিউল্লা খান, রেহান শরিফ, আব্দুল আফনান এবং নিহান।’’ ২০ থেকে ২২ বছর বয়সি ওই যুবকদের বিরুদ্ধে অতীতে নানা অপরাধমূলক অভিযোগ আছে বলে জানান তিনি। জেলা পুলিশের সুপার লক্ষ্মণ প্রসাদ জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোট ১২ জনকে আটক করা হয়েছিল।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা ঘিরে বিতর্কের আবহে এই খুনের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কর্নাটকে। যদিও কর্নাটকের দাবি, হর্ষের খুনের সঙ্গে হিজাব-বিতর্কের প্রত্যক্ষ কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) তথা কর্নাটকের নেতা বিএল সন্তোষ অবশ্য অভিযোগ করেন, ‘‘মৌলবাদী জিহাদিরা খুন করেছে হর্ষকে।’’ একটি বিশেষ ধর্মীয় সংগঠনকে দোষারোপ করেন সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে এস এশ্বরাপ্পাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ খুন করা হয় হর্ষকে। কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই শিবমোগা শহরের সিগেহাট্টি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। নিহতের দেহ নিয়ে মিছিলের সময় ফের এক দফা অশান্তি ছড়ায় শহরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy