Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
Engineering

ছাত্রাবস্থায় পারেননি, ফের ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় বসে ‘টপার’ হলেন সত্তরের নারায়ণ!

কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলার বাসিন্দা নারায়ণ। ১৯৭৩ সালে সরকারি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেন।

বয়স যে শুধু সংখ্যা তা দেখালেন সত্তরের নারায়ণ এস ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।

বয়স যে শুধু সংখ্যা তা দেখালেন সত্তরের নারায়ণ এস ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৪৭
Share: Save:

ছাত্রাবস্থায় পারেননি। বৃদ্ধ বয়সেও সেই খেদ মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেননি। সেই স্বপ্নই এ বার পূরণ করলেন নারায়ণ এস ভট্ট। তা-ও আবার নিজের সত্তর বছর বয়সে। পরীক্ষায় বসলেন। শুধু তা-ই নয়, ৯৫ শতাংশ পেয়ে প্রথম স্থানও অধিকার করেছেন। বয়স যে শুধু একটা সংখ্যামাত্র তা প্রমাণ করে দিলেন সত্তরের নারায়ণ। শুধু তাই নয়, অদম্য জেদ থাকলে যে বয়স কোনও বাধা হতে পারে না, তা-ও প্রমাণ করলেন এই বৃদ্ধ।

কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলার বাসিন্দা নারায়ণ। ১৯৭৩ সালে সরকারি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেন। কিন্তু পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। প্রথম না হতে পারার দুঃখ ভুলতে পারেননি নারায়ণ। কাজ থেকে অবসরের পর স্থির করেন আবার ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় বসবেন। সেই মতো কলেজে ভর্তিও হয়েছিলেন। এক জন নিষ্ঠাবান ছাত্রের মতো পড়াশোনা করতেন। নিয়মিত কলেজে যেতেন। যে বয়সে বিশ্রাম নেওয়ার কথা, সেই বয়সেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন। আর সেই পরিশ্রমের ফসলও তুলে এনেছেন নারায়ণ।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু সংস্থায় কাজ করেছেন নারায়ণ। তাঁর দুই মেয়ে। তাঁরাও ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে এক জন আয়ারল্যান্ডে, অন্য জন আমেরিকায় চাকরি করছেন। নারায়ণ জানান, এই বয়সে পরিবারের সদস্যদের কাছে কলেজে পড়ার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে তাঁরা অবাক হলেও তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। পরিবারের সমর্থন এবং সহযোগিতা ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব ছিল না বলে এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নারায়ণ।

অন্য বিষয়গুলি:

engineering Karnataka
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE