বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়ের ভগ্নীপতি প্রতুলচন্দ্র দেব হত্যা মামলায় ৯জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল গুয়াহাটির এক আদালত। এই মামলায় ১২জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩ জন আজও ফেরার। বাকি ৯ জনের মধ্যে ৮জনই চাকমা জনগোষ্ঠীর। অন্যজন হাইলাকান্দিরই বাঁশ ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন মজুমদার।
প্রতুল দেব হাইলাকান্দি জেলায় জন্ম, বেড়ে ওঠা হলেও একসময় লন্ডন চলে গিয়েছিলেন। আজও তাঁর স্ত্রী-কন্যারা সে দেশেই রয়েছেন। ২০০০ সালে তিনি ভারতে ফিরে আসেন। বাঁশের ব্যবসায় মন দেন। সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি শ্যালক গৌতম রায়ের বিরুদ্ধে পদ্মপ্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন। জেতেন অবশ্য গৌতমবাবুই।
এর তিন বছর পর ২০০৪-র ১৭ মার্চ থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁর। সে দিন তিনি ব্যবসায়িক কাজে মিজোরামের ভৈরবীতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সাধন নাথ ও জালালউদ্দিন মজুমদার নামে দুই কর্মচারী। ভাইছড়ার জঙ্গল থেকে তিনজনকেই তুলে নিয়ে গিয়েছিল বন্দুকধারীরা। দুইজনকে পরবর্তী সময়ে ছেড়ে দিলেও প্রতুল দেবকে নিজেদের জিম্মায় রেখে দেয়। পুলিশ তাঁর সন্ধানে ব্যর্থ হলে তাঁর কন্যা শিপ্রা দেব লন্ডন থেকে হাইলাকান্দি আসেন।তাঁর আর্জিতে মামলার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়া হয়। এরাই অপহরণের ১৪ মাস পর মিজোরাম সীমা লাগোয়া বইনছড়ায় প্রতুলদেবের কঙ্কাল উদ্ধার করে।
এই হত্যাকাণ্ডে একসময় গৌতম রায় ও তাঁর ছেলে রাহুল রায়ের নামও জড়িয়ে গিয়েছিল। প্রাক্তন বিধায়ক রাহুল রায়কে সিবিআই দিল্লি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে চার্জশিটে তাদের কারও নাম উল্লেখ ছিল না। যে ১২ জনের নাম অভিযোগ করা হয়েছিল, তাদের সবাইকে দোষী বলে আগেই জানিয়েছিল আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy