অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
দুর্নীতির দায়ে যে পি চিদম্বরম এই মুহূর্তে তিহাড় জেলে বন্দি, পেশাদার হিসেবে (আইনজীবী) তাঁর বছরে রোজগার ৩৩ কোটি টাকা। সেখানে আইএনএক্স মামলায় তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির আয় ১৭৭ কোটি। স্বনিযুক্ত পেশাদারদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি আয় বাংলার এই রাজ্যসভা সাংসদেরই।
রাজ্যসভার ২১৩ জন সাংসদের নিজেদের পেশা থেকে রোজগার কেমন, তথ্যের অধিকার আইনে পাওয়া জবাবের ভিত্তিতে তা নিয়ে সমীক্ষা করেছিল অসরকারি সংস্থা ‘এডিআর’ এবং ‘নিউ’। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নিজেদের ওই আয় সম্পর্কে তথ্যই দেননি ১৭ জন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন এ রাজ্যের দোলা সেনও।
কোনও সংস্থার পর্ষদে বেতনভূক ডিরেক্টর হিসেবে সব থেকে বেশি আয় কর্নাটকের জেডিএস সাংসদ ডি কুপেন্দ্র রেড্ডির। রোজগার ৪০ কোটি টাকা। মোট সম্পদ ৪৬২ কোটির। দ্বিতীয় স্থানে ওই রাজ্যেরই বিজেপি সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। আয় ও সম্পদ যথাক্রমে ৭ এবং ৬৪ কোটি।
কোনও পেশায় নিয়মিত রোজগার রয়েছে, এমনদের মধ্যে প্রথম তিনে নাম রয়েছে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ মহেশ পোদ্দার (৩ কোটি), বিজেপির মনোনীত সাংসদ তথা বক্সিং চ্যাম্পিয়ন মেরি কম (২.৫ কোটি) এবং স্বপন দাশগুপ্তের (৬৬ লক্ষ)। হাতে থাকা শেয়ারের মূল্যায়নের হিসেবেও প্রথম তিনে জায়গা পেয়েছেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর নিজের হাতে থাকা শেয়ারের মোট দাম ৩৮২ কোটি টাকা। আর মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৪৯ কোটি। এ ক্ষেত্রে শীর্ষে বিহারের বিজেপি সাংসদ রবীন্দ্র কিশোর সিন্হা। ৫২৫ কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে তাঁর হাতে। মোট সম্পদ ৮৫৭ কোটির।
সম্পদ ১ কোটি টাকার বেশি, কিন্তু সে ভাবে অন্য কোনও পেশায় আর্থিক যোগ না-থাকার কথা বলেছেন ১০৪ জন (৪৮.৮%) সাংসদ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সোনির নামও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy