নয় নয় করে কেটে গিয়ে বছর পনেরো। কিছুতেই তাঁকে ধরতে পারেনি পুলিশ। আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়লেন। প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে পাওয়া গেল তাঁরই ফ্ল্যাটে। একটি ওয়াশিং মেশিনের ভিতর লুকিয়ে ছিলেন তিনি।
ঘটনা মুম্বইয়ের। পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত দু’টি প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মনোজ তিওয়ারি। ২০০২ সালে মহারাষ্ট্রের বীড় শহরের একটি বি এড কলেজে অ্যাডমিশন করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন জনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তা ছাড়া, পুণেতে ১ কোটি টাকার একটি আর্থিক দুর্নীতি মামলাতেও পুলিশ খুঁজছিল মনোজকে। ২০০২ সাল থেকেই আদালত মনোজকে ফেরার হিসেবে ঘোষণা করে।
আজাদ ময়দান থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর বসন্ত বখারে জানিয়েছেন, সম্প্রতি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে আর্থিক দুর্নীতিতে ফেরার অভিযুক্তদের তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সে কারণে মনোজেরও খোঁজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন
আমি র-এর চর, শেখানো বুলির মতো আউড়ে যাচ্ছিলেন কুলভূষণ
যত দামই দিন, এই মাছ শুধু বৌমার
তল্লাশিতে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দক্ষিণ মুম্বইয়ের জুহুতে মনোজের একটা ঝাঁ-চকচকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। গত সোমবার তাঁর খোঁজে সেখানেই হানা দিয়েছিল আজাদ ময়দান ও জুহু থানার পুলিশ। কিন্তু, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তদন্তকারী আধিকারিকদের ফ্ল্যাটের ভিতরেই ঢুকতে দেননি মনোজের স্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ পুলিশের। পেশায় আইনজীবী ওই মহিলা নানা অছিলায় পুলিশকে ফ্ল্যাটের বাইরেই দাঁড় করিয়ে রাখেন। শেষমেশ ওই মহিলাকে বুঝিয়ে ফ্ল্যাটের ভিতর ঢোকেন তদন্তকারীরা। তিন বেডরুমের ফ্ল্যাটের তন্নতন্ন করে খুঁজলেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মনোজের। হতাশ হয়ে ফিরেই আসছিলেন তাঁরা। শেষে একটি ওয়াশিং মেশিনের ভিতরের কাপড়ে টান মারতেই বেরিয়ে পড়েন মনোজ। একগাদা জামা-কাপড়ের মাঝেই লুকিয়ে ছিলেন তিনি।
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
মুম্বইয়ের ডেপুটি কমিশনার (জোন ওয়ান) মনোজকুমার শর্মা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই জানা যায় মনোজ জুহুতে রয়েছেন। জুহুতে তাঁর ফ্ল্যাট থেকেই মনোজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মনোজের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy