এই গর্ত থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর দেহ। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পরে নিজের গ্রামেরই একটি বাড়ির গর্ত থেকে গত কাল উদ্ধার হয়েছিল বছর বারোর এক কিশোরীর দেহ। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর জেলার সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আজ হিমাচলপ্রদেশের শিমলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম হরেন্দ্র। বছর বাইশের ওই যুবক জেরায় মেয়েটিকে খুনের কথা স্বীকার করেছে দাবি করেছে পুলিশ। হরেন্দ্র দিল্লিতে দিনমজুরের কাজ করে। তবে ঘটনার দিন সে গ্রামের বাড়িতেই ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই চাপ বাড়ছিল যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের উপরে। দু’দিন আগেই হাথরসের নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তার পরেই এই ঘটনা সামনে আসায় রাজ্যে নারীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশাসন কতটা তৎপর, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মাঠে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বুলন্দশহরের ওই কিশোরী। তার সঙ্গে থাকা মা ও দুই বোনকে সে বলেছিল জল তেষ্টা পেয়েছে। তার মা ভেবেছিলেন সে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। কিন্তু সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরে তাঁরা দেখেন ওই কিশোরী বাড়িতে নেই। প্রায় তিন দিন খোঁজাখুঁজির পরে কিশোরীর বাবা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। বুলন্দশহরের পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, গত কাল পুলিশ তদন্তের সময়ে যেখানে মেয়েটি কাজ করছিল, তার পাশেই একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েএকটি গর্ত খুঁজে পায়। সেখান থেকেই ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়িটিতে বাবার সঙ্গে থাকত হরেন্দ্র। তার বাবাকে তখনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। আজ সকালে ধরা পড়ে হরেন্দ্র। মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করে এখনও বলতে পারেনি পুলিশ। ধৃত যুবক জানিয়েছে, মেয়েটি জল খেতে তার বাড়ি গিয়েছিল। তখনই সে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটি সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে তার মুখ বন্ধ করার জন্য সে কিশোরীকে খুন করে দেহ বাড়ির পাশে গর্তে পুঁতে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy