প্রতীকী চিত্র।
তিরিশ বছর আগেকার ঘটনা। এক দম্পতির কাছ থেকে সোনা চুরি করতে গিয়ে তাঁদের খুন করে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। খুনের সময় তাঁকে যে দু’জন সাহায্য করেছিলেন তাঁরা পুলিশের হাতে ধরা পরলেও তিরিশ বছর ধরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন মূল অভিযুক্ত। শুক্রবার দম্পতি খুনের অভিযোগে সেই পলাতক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ৪৯ বছর বয়সি অভিযুক্তের নাম অবিনাশ ভীমরাও পাওয়ার। মৃত দম্পতির নাম ধনরাজ ঠাকরাসি কুরওয়া (৫৫) এবং তাঁর স্ত্রী ধনলক্ষ্মী (৫০)।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধনরাজ এবং ধনলক্ষ্মী লোনাভলার ভালভম সত্যম সোসাইটির বাসিন্দা ছিলেন। তিরিশ বছর আগে দম্পতির সঙ্গে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ভাব জমিয়েছিলেন অবিনাশ। অভিযোগ, দম্পতির কাছে প্রচুর সোনাদানা ছিল তা আগে থেকে জানতেন অবিনাশ। সেগুলি চুরি করার উদ্দেশ্যেই দম্পতির সঙ্গে আলাপ জমান তিনি। দম্পতি যে বাংলোয় থাকতেন, তার নিকটবর্তী একটি দোকানের মালিক বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন অবিনাশ।
তার পর অবিনাশ তাঁর দুই বন্ধু অমল জন কালে এবং বিজয় অরুণ দেসাইয়ের সঙ্গে দম্পতিকে খুনের পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ। তদন্তে জানা যায়, খুনের সময় অবিনাশের বয়স ছিল ১৯ বছর, অমলের বয়স ছিল ২৪ বছর এবং বিজয়ের বয়স ছিল ২১ বছর। খুনের পর লোনাভলা পুলিশের হাতে অমল এবং বিজয় গ্রেফতার হলেও ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অবিনাশ। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা সূত্রে জানা যায়, অবিনাশ তাঁর পরিচয় পরিবর্তন করে মুম্বইয়ে তিরিশ বছর ধরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। আধার কার্ড-সহ প্রয়োজনীয় নথিপত্রও বদলে ফেলেছেন বলে অবিনাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ জানায়, অবিনাশ এবং তাঁর দুই সহকারী দম্পতির গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানোর পর ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মেরেছিলেন।
অবিনাশের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অবিনাশের স্ত্রী জানান, পরিচয় বদলে মুম্বইয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করেন অবিনাশ। গ্রেফতারির ভয়ে কোনও দিন লোনাভলা যাননি তিনি। অবিনাশের ৭৯ বছর বয়সি মা এখনও লোনাভলায় থাকেন বলে জানান অবিনাশের স্ত্রী। পুলিশের উচ্চ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবিনাশকে লোনাভলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy