মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ছবি সংগৃহীত।
শ্বশুরবাড়িতে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে, সেই খবর শুনে সেখানে ছুটে যান তাঁর বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্য। অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে যৌতুকের জন্য অত্যাচার করতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চরম পদক্ষেপ করেছেন তাঁদের মেয়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। বচসার মধ্যেই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। পুলিশ সূত্রে খবর, অংশিকা কেশরবানী নামে এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, তার পরই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন অংশিকার বাপের বাড়ির লোকেরা। তাঁদের দাবি, যৌতুকের জন্য অংশিকার উপর অত্যাচার করতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা।
এই ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করে। অভিযোগ, সেই সময়ই অংশিকার বাপের বাড়ির লোকেরা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন নেভানোর পর দেখা যায়, ঝলসে আংশিকার শ্বশুর এবং শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে।
প্রয়াগরাজ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীপক ভুকার জানান, তাঁরা সোমবার রাত ১১টায় একটা ফোন পান। সেই ফোনেই জানানো হয়, এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাঁর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর পর তিনি জানান, পুলিশের সামনেই মৃতার পরিবারের লোকেরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু করেন। সেই ঝামেলার মধ্যেই আচমকা কয়েক জন ওই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তার পর বাড়ির মধ্যে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে অগ্নিদগ্ধ দু’টি দেহ উদ্ধার করা হয়। পাঁচ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েক জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy