প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দিন পনেরো আগে বাড়ির সামনে খেলার সময় রাস্তার কুকুর কামড়েছিল বছর আটের এক শিশুকন্যা পুনমকে। কেউ যদি কিছু বলে, সেই ভয়ে বাড়িতে এই ঘটনার কথা লুকিয়ে গিয়েছিল সে। তবে ঘটনার দু’দিন পরেই মাকে বিষয়টি জানায় পুনম।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কন্যাকে কুকুর কামড়েছে এই বিষয়টি জানার পর কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বা কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না গিয়ে ‘ঘরোয়া চিকিৎসা’তেই আস্থা রাখেন পুনমের মা। কিন্তু যত দিন এগোচ্ছিল, সেই চিকিৎসার কোনও প্রভাব তো পড়ছিলই না, বরং পুনমের শরীরে জলাতঙ্কের নানা উপসর্গ ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছিল। ১৫ দিন পর সেই উপসর্গ প্রকট হয়ে উঠলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুনমকে নিয়ে যায় তার পরিবার। কিন্তু পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় তাকে সেখান থেকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় পুনমের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আগরায়।
আগরার পিনাহাট নামে একটি গ্রামে থাকত পুনম। আগরার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমও) চিকিৎসক একে শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, কন্যাকে কুকুর কামড়েছে, এই ঘটনা জানার পরেও চিকিৎসকের কাছে যায়নি পুনমের পরিবার। ঠিক সময়ে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা পেলে শিশুটির প্রাণ যেত না বলে জানিয়েছেন সিএমও। তিনি বলেন, “জলাতঙ্কে মৃত্যুর হার ১০০ শতাংশ। যদি কাউকে কুকুর কামড়ায়, বিষয়টি গোপন না করে দ্রুত চিকিৎসা করানো উচিত।” যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুনমকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক জিতেন্দ্র বর্মা জানিয়েছেন, কুকুর কামড়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জলাতঙ্কের প্রথম প্রতিষেধক দেওয়া উচিত। তার পরের প্রতিষেধক তিন দিন পর। তৃতীয় প্রতিষেধক সপ্তম দিনে এবং শেষ প্রতিষেধকটি ২৮ দিনের মধ্যে দিতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, পুনমের ক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থাই করেনি তার পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy