দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য শনিবার দুপুরে আস্থাভোটের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তার আগে সকালে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ভার্চুয়াল হাজিরা দিলেন তিনি।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় পঞ্চম বারও ইডির সমন এড়িয়েছিলেন কেজরী। এড়িয়ে গিয়েছিলেন জিজ্ঞাসাবাদ। তা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আবেদন জানানো হয়েছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানিতে বিচারক দিব্যা মলহোত্র নির্দেশ দিয়েছিলেন, শনিবার আদালতে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে হবে আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধানকে।
ঘটনাচক্রে, এই সময়ের মধ্যেই দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির তরফে ষষ্ঠ সমন পাঠানো হয়েছে তাঁকে। ১৯ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ইডি দফতরের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই সমনে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজিরা দিয়ে কেজরী জানান, দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোট থাকার কারণে তিনি সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে পারছেন না। আদালত তাঁকে আগামী ১৬ মার্চ সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আদালতের ‘ছাড়পত্র’ হাতিয়ার করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ইডির ষষ্ঠ সমনও এড়িয়ে যাবেন বলে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার আচমকাই আস্থাভোট নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল। তিনি জানান, বিজেপি আপ বিধায়কদের একাংশকে কিনে তাঁর সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে। অন্তত ৭ জন আপ বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজেপির তরফে ২৫ কোটি টাকা করে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩৬ বিধায়কের সমর্থন। বিজেপির রয়েছে মাত্র ৮ জন বিধায়ক। আপের ৬২। এই পরিস্থিতিতে ২৮ জন আপ বিধায়ককে দলে টানা বিজেপির পক্ষে অসম্ভব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy