এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার। ছবি টুইটার।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের আমলে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের দশা নিয়ে দেশ জুড়ে প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস। দিল্লিতে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় প্রতিবাদ-ধর্নারও ডাক দিয়েছে তারা। বিজেপি সরকারের কাজকর্মের প্রতিবাদে কর্মসূচি নিয়ে বলতে এসেই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়ে কটাক্ষ করলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার। কংগ্রেসকে আবার পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও।
বিধান ভবনে সোমবার এআইসিসি-র নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ অজয় তথ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, শুধু পেট্রো-পণ্যের উপরে কর বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার বছরে ২৭ লক্ষ কোটি টাকা তুলছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের অবস্থার উন্নয়নে তাদের কোনও নজর নেই। অজয়ের দাবি, বেকারের সংখ্যা এখন ২৫ কোটি। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, পরিস্থিতি কত ভয়াবহ। মোদী সরকারের এই নীতি ও কাজকর্মের বিরুদ্ধেই তাঁরা প্রতিবাদে নেমেছেন বলে জানান অজয়। সেই সূত্রেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘অর্থনীতির হাল বাংলাতেও ভয়াবহ। তার সঙ্গে এখানে চলছে দুর্নীতি। নেতা-মন্ত্রী, তাঁদের ঘনিষ্ঠদের হেফাজত থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। আরও কত আছে, কে জানে! যারা এত টাকা তোলে, তারা সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দেয় না। মানুষের টাকা দিয়ে মানুষের অধিকার মেটাতে তৃণমূল সরকারের কীসের আপত্তি?’’ দিল্লিতে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের ইডি তলব করলে তাঁরা প্রতিবাদ করেন কিন্তু বাংলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে কিছু বলেন না, এই প্রশ্নে অজয় এ দিন বলছেন, ‘‘কোথাও প্রতিহিংসা বা হেনস্থা হলে সেখানে প্রতিবাদ করা হয়। বিহারে সরকার বদলানোর পরেই কী ভাবে সিবিআই নেমেছে, সবাই দেখেছে। সনিয়া বা রাহুলের কাছ থেকে টাকা বা অবৈধ সম্পত্তির হদিস মিলেছে? বাংলায় তো চোখে দেখা যাচ্ছে, কী হয়েছে। মেধা-তালিকার ভিত্তিতে ডাক না পেয়ে চাকরি-প্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন।’’
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস আগে নিজেদের ঘর সামলাক। এআইসিসি নেতারা গুলাম নবি আজাদের প্রশ্নের উত্তর দিন! তার পরে অন্যের দুর্নীতি নিয়ে ভাববেন!’’ তবে অজয় এ দিন কংগ্রেসের নেতৃত্ব-সঙ্কট বা অন্য বিষয়ে প্রশ্ন নিতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy