সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। ছবি: পিটিআই।
নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে ২৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের দুদ্ধির বিজেপি বিধায়ক রামদুলার গোন্দ। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে না বিজেপি নেতৃত্ব, না যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন কেউই কোনও ‘ব্যবস্থা’ নেয়নি বলে অভিযোগ তুলে এ বারে আক্রমণ শানালেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে এ নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব এবং যোগী আদিত্যনাথকে আক্রমণ করেছেন তিনি।
বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, সংখ্যালঘু বা বিজেপি-বিরোধী দলের কেউ অভিযুক্ত হলেই হল! অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হওয়ার আগেই বুলডোজ়ার চালিয়ে তাঁর বাড়ি ভাঙায় দেশজোড়া ‘খ্যাতি’ রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের। এসপি নেতৃত্বের প্রশ্ন, অথচ সেই আদিত্যনাথের রাজ্যে তাঁরই দলের বিধায়ক রামদুলার গোন্দ এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে ২৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরেও কেন তাঁর বাড়িতে এখনও বুলডোজ়ার চালানো হয়নি? আর কেনই বা বিরোধী সাংসদ-বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজে অতিতৎপর বিজেপি নেতৃত্ব রামদুলারের বিধায়কপদ এখনও খারিজ করেননি? রবিবার এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে প্রশ্ন তুলেছেন অখিলেশ।
অখিলেশ লিখেছেন, ‘ধর্ষণের মামলায় বিজেপির দুদ্ধির (সোনভদ্র) বিধায়কের ২৫ বছরের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা থেকে তাঁর সদস্যপদ এখনও খারিজ হয়নি। তিনি বিজেপির বিধায়ক বলেই কি বিশেষ সম্মান এবং রক্ষাকবচ পাচ্ছেন? আজ না কাল, কবে বুলডোজ়ার নামানো হবে, জানতে চাইছে জনতা।’’
২০১৪ সালে যে সময় নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, তখনও রামদুলার বিধায়ক হয়নি। তবে তাঁর স্ত্রী সে সময় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। কংগ্রেস-এসপি-সহ বিরোধীদের বক্তব্য, ধর্ষণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রামদুলারকে টিকিট দিয়ে বিজেপি প্রমাণ করেছে, তারা ধর্ষকদের পক্ষে। এ প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে গুজরাত দাঙ্গায় বিলকিস বানোর গণধর্ষক ও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যকে খুনে অভিযুক্তদের প্রসঙ্গ টেনেছে তারা। ওই মামলায় বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও রাজ্যের বিজেপি সরকার তাদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে জেল থেকে মুক্ত করে দেয়। স্থানীয় বিজেপি নেতারা তাদের গলায় মালা পরিয়ে সংবর্ধনাও দেয়। উত্তরপ্রদেশের এসপি নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি সব ক্ষেত্রেই ধর্ষকদের আড়াল করে, এমনকি তাদের দলের উচ্চপদেও বসায়। অথচ তাদেরই সর্বোচ্চ নেতা মুখে ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’ এর স্লোগান দেয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy