গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
খবরের সত্যতা যাচাই করার সংবাদমাধ্যম ‘অল্ট নিউজে’র সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২০১৮-য় একটি টুইটে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে, এই অভিযোগে দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, ২০১৮-য় যে যন্ত্রের সাহায্যে তিনি ওই টুইটটি করেছিলেন, সেই যন্ত্রটি পুলিশের হাতে তুলে দিতে তিনি অস্বীকার করেছেন।
দিল্লি পুলিশের কাছে জুবের দাবি করেন, ২০১৮-য় যে যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি ওই টুইটটি করেছিলেন, তা হারিয়ে গিয়েছে। পরে অবশ্য জুবেরের বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে ওই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর।
আদালত জুবেরকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হওয়ার প্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ আদালতে আরও তিন দিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, যে টুইটের জন্য জুবেরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তা চিহ্নিত করতে আপত্তি করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি জুবের নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একাধিক টুইট মুছে ফেলেছেন বলেও অভিযোগ। সেই টুইটেও আপত্তিকর বিষয় ছিল বলে দিল্লি পুলিশের একটি অংশের দাবি। পুলিশ মুছে ফেলা টুইটগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৮-য় জুবের একটি ছবি টুইটে শেয়ার করেছিলেন। হিন্দিতে একটি হোটেলের নামফলক। নাম ‘হনুমান হোটেল।’ ছবিটি দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, নামফলকে আগে লেখা ছিল, ‘হানিমুন হোটেল’। সাংবাদিক জুবের সেই টুইটে লিখেছিলেন, ২০১৪-র আগে যা ছিল হানিমুন হোটেল, ২০১৪-এর পর তা-ই হয়েছে হনুমান হোটেল। দিল্লি পুলিশের দাবি, এই টুইটে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।
বিরোধীরা বলছেন, এই টুইট করার জন্য যদি সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর এখনও কেন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে গ্রেফতার করা হল না? এই প্রসঙ্গেই অমিত শাহের মন্ত্রক তথা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ভেদাভেদের অভিযোগ আনছেন বিরোধী নেতারা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy