ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষায় মাতৃভাষার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ জাতীয় শিক্ষানীতির দু’বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘মাতৃভাষায় শিক্ষা না পেলে কোনও পড়ুয়ার মানসিক বিকাশ সম্পূর্ণ হয় না। সেই কারণে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে তিনটি ভাষা শিক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে মূলত মাতৃভাষায় শিক্ষার উপরে জোর দিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘এক জন পড়ুয়ার বিকাশ নির্ভর করে মাতৃভাষায় শিক্ষার উপরে। ছোট বয়সে মাতৃভাষায় শিক্ষা না পেলে পড়ুয়ার চিন্তার বিস্তার বাধাপ্রাপ্ত হয়।’’ তাঁর দাবি সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদী সরকার নিট, জেইই-এর মতো সর্বভারতীয় পরীক্ষা পড়ুয়াদের মাতৃভাষায় নেওয়া শুরু করেছে। প্রাথমিকের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষাতেও মাতৃভাষার ব্যবহারের উপরে জোর দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘‘ভারতীয় ভাষার পরিবর্তে যখন অন্য ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয় তখন লাভবান হয় মাত্র ৫ শতাংশ পড়ুয়া। কারণ ৯৫ শতাংশ পড়ুয়া নিজেদের মাতৃভাষাতে পড়াশোনা করে বড় হয়। মাতৃভাষায় শিক্ষা হলে ১০০ শতাংশ পড়ুয়া দেশের উন্নতিতে অংশনিতে পারত।’’
আজ নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্ট-সর্বত্র ভারতীয় ভাষা ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছেন অমিত। তিনি বলেন, ‘‘গুজরাতের জেলা আদালতের বহু আইনজীবী রয়েছেন, যাঁরা আইন গুলে খেয়েছেন। কিন্তু সাবলীল ভাবে ইংরেজি না বলতে পারায় তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করতে পারেন না।’’ অমিত শাহ যে দিন এ কথা বললেন সে দিনই কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক লোকসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়, কর্নাটক তাদের হাই কোর্টে যথাক্রমে বাংলা, তামিল, গুজরাতি, হিন্দি ও কানাড়া ভাষায় দৈনন্দিন কাজ চালানোর আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু ২০১২ ও ২০১৬ সালে সেই আবেদন খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy