অমৃতসরে জ্বলল গণচিতা। ছবি: পিটিআই।
অমৃতসরের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চালক বা অন্য কোনও রেলকর্মীর কোনও দোষ নেই। সাফ জানাল ভারতীয় রেল। শুধু তাই নয়, এ জন্য কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি। শনিবার তিনি জানান, ‘‘যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা কোনও ক্রসিং নয়। তাই প্রহরী বা কোনও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখার প্রশ্নই ছিল না। দু’টি স্টেশনের মাঝে ট্রেন তার স্বাভাবিক গতিতে চলবে, এটাই নিয়ম। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’’
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই এলাকায় কোনও অনুষ্ঠান চলছে, সেরকম কোনও খবরও রেলকে কেউ জানায়নি। তাই আগে থেকে কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। কোনও রেলকর্মী বা চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলেও সাফ জানিয়েছেন তিনি।
অভিশপ্ত রেললাইনের পাশে এখনও ভয়াবহ ঘটনার রেশ। ছবি: পিটিআই।
এরই মধ্যে উঠে আসছে অনুষ্ঠান আয়োজকদের চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার খবর। অভিযোগ উঠেছে, ভয়াবহ দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই এক আয়োজক মাইকে ঘোষণা করেন, ‘‘ রেল লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকলেও আমাদের কিস্যু এসে যায় না। লাইন দিয়ে ৫০০ ট্রেন গেলেও আমরা এখান থেকে সরবো না।’’
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার দায় নিল না কেউই! ক্ষোভে ফুঁসছে অমৃতসর
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক নভজ্যোৎ সিধু কউর। তাঁকে উদ্দেশ্য করেই এই বক্তব্য রেখেছিলেন এক আয়োজক।
অমৃতসরের শিব পুরীর দুর্গানিয়া মন্দিরে জ্বলল গণচিতা। ছবি: পিটিআই।
বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তুলছেন রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুলও। কার দোষে এই মৃত্যুর মিছিল তা নিয়ে চাপানউতোর চললেও শনিবার শোকস্তব্ধ ছিল গোটা পঞ্জাব। শিব পুরীর কাছে দুর্গানিয়া মন্দিরের শ্মশান রীতিমতো গণচিতার চেহারা নিয়েছিল। স্বজন হারানোর বেদনা ঘিরে রেখেছিল গোটা শহর। দশেরার আনন্দ আর রোশনাই ফিকে হয়ে গিয়েছে চিতার আগুন আর তার শোকে।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy