—প্রতীকী চিত্র।
এ বার দিল্লিতে পুলিশি প্রহরায় বিয়ে সারলেন আরও এক গ্যাংস্টার। ন’বছরের সম্পর্ক। সেই বান্ধবীকে দিল্লির বিকাশপুরী এলাকার এক মন্দিরে বিয়ে করলেন গ্যাংস্টার যোগেশ দাহিয়া ওরফে তুণ্ডার। বিয়ে উপলক্ষে ছ’ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। তার মধ্যেই বিয়ে করেন তিনি। দিন কয়েক আগে পুলিশি প্রহরায় বিয়ে করেছেন সন্দীপ কালা জাথেডি এবং অনুরাধা, যিনি ‘রিভলভার রানি’ নামে পরিচিত।
২০২৩ সালে তিহাড় জেলে খুন হয়েছিলেন গ্যাংস্টার সুনীল মান ওরফে তিল্লু তাজপুরিয়া। সেই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত হলেন যোগেশ, গোগি গোষ্ঠীর প্রধান। এখন তিহাড়েই রয়েছেন তিনি। এক ডজনেরও বেশি খুন, অপহরণ, ডাকাতি, খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে যোগেশের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট (এমসিওসিএ)-এও একটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিকাশপুরীর আর্য সমাজ মন্দিরে শুক্রবার বসেছিল বিয়ের আসর। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মন্দিরের ভিতরে, বাইরে, সামনের রাস্তায়, উড়ালপুলেও মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। বিপক্ষ গোষ্ঠীর সদস্যেরা হামলা চালাতে পারে, সেই আশঙ্কায় পুলিশের বিশেষ শাখা এবং অপরাধ দমন শাখার সদস্যেরাও উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে পুলিশ ভ্যানে চাপিয়ে যোগেশকে মন্দিরে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশের তৃতীয় ব্যাটেলিয়ন। বর এবং কনের পরিবারের আট জন করে সদস্য উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের ভিতর। তাঁদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের পর আবার তিহাড়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যোগেশকে।
যোগেশ গোগি গোষ্ঠীর সদস্য। ২০২১ সালে রোহিণীর আদালতে খুন করা হয়েছিল যতীন্দ্র মান ওরফে গোগিকে। অভিযুক্ত ছিল বিপক্ষ তিল্লু তাজপুরিয়া গোষ্ঠী। ২০২৩ সালের মে মাসে সেই তিল্লুকেই তিহাড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিশোধ নিতেই খুন করা হয়েছিল তিল্লুকে। অভিযুক্ত ছিলেন যোগেশ এবং তিন জিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy