অরুণ জেটলি। ফাইল চিত্র।
জরুরি অবস্থা জারির ৪৩ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীকে জার্মানির স্বৈরাচারী শাসক অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এমনকি দাবি করলেন, ‘‘হিটলার যা পারেননি, ইন্দিরা সেই কাজও করেছিলেন।’’
১৯৭৫ সালের ২৬ জুন জরুরি অবস্থা জারির প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে আজ লাগাতার আক্রমণ করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। ইন্দিরার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়েছিলেন জেটলি। তাঁর বক্তব্যকেই শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবার অমিত শাহও টেনে আনেন গণতন্ত্র হত্যায় ইন্দিরার ভূমিকার কথা। ‘জরুরি অবস্থার অত্যাচারের কথা’ পাঠ্যবইয়ে রাখার যুক্তি হাজির করেন মোদীর মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।
তবে জরুরি অবস্থা নিয়ে সব থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন জেটলি। তিনি লিখেছেন, ‘‘হিটলার আর ইন্দিরা— দু’জনেই সংবিধানকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন। সংবিধানের গণতান্ত্রিক ভাবনাকে চাপিয়ে দিয়ে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁরা।’’ দুই শাসকের এই তুলনায় জেটলির যুক্তি, হিটলার পার্লামেন্টের অধিকাংশ বিরোধী নেতাকে বন্দি করেছিলেন। তাঁর সংখ্যালঘু সরকারকে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারে পরিণত করিয়েছিলেন। ইন্দিরাও বিরোধীরা অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন, এই অজুহাত দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। জেলে পাঠান বিরোধীদের। দু’জনের আর্থিক কর্মসূচিতেও মিল রয়েছে বলে মনে করেন জেটলি। তাঁর মতে, হিটলার ২৫ দফা আর্থিক কর্মসূচি শুরু করেন। ইন্দিরা করেছিলেন বিশ দফা কর্মসূচি। ব্যবধান মেটাতে ইন্দির-পু্ত্র সঞ্জয় তাঁর পাঁচ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে দেন। দু’দেশেই সংবাদ মাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও একই রকম বলে মনে করেন জেটলি। ফলে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘১৯৭৫-এ ভারতে যা করেছিলেন ইন্দিরা, আদতে তা কি ১৯৩৩-এর জার্মানি থেকে আমদানি করা?’’
তবে জেটলি যখন ইন্দিরাকে নিশানা করছেন, পাল্টা মোদীকে আক্রমণ করেছেন লেখিকা ও নেহেরু পরিবারের সদস্য নয়নতারা সায়গল। তাঁর মতে, ‘‘মোদী জমানায় অলিখিত জরুরি অবস্থা চলছে। আঘাত আসছে স্বাধীন চিন্তার উপরে। সঙ্ঘের মতের সঙ্গে মিল হচ্ছে না যাঁদের, মরতে হচ্ছে সেই অসহায় ভারতীয়দের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy