অসম কংগ্রেসের নেতাদের একাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দলের মধ্যে বিতর্ক চলছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সম্প্রতি দলের বিক্ষুব্ধরা প্রশ্ন তুলেছেন। এরই মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের তফসিল জাতি সেলের চেয়ারম্যান রামানন্দ দাসকে করিমগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানোর ব্যানারে তাঁর নামের পাশে ‘এমএ, এলএলবি, পিএইচডি’ লেখা সেই বিতর্ককেই যেন আরও উস্কে দিল। স্বাগত-ব্যানারে নেতার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে হতবাক কংগ্রেসের অনেক নেতা-কর্মী। তাঁদের মতে, করিমগঞ্জের এই ঘটনা বিরল।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের স্বাগত জানাতে দলের নেতা-কর্মীরা পোস্টার, ব্যানার, তোরণ বসিয়েই থাকেন। কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না। কিন্তু করিমগঞ্জের ইন্দিরা ভবন এবং তার আশপাশে লাগানো ব্যানার দেখে হতবাক অনেকেই। কংগ্রেসের জেলা নেতাদের বক্তব্য, এর আগে করিমগঞ্জ জেলায় কংগ্রেস সভানেত্রী থেকে আরম্ভ করে অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও এসেছেন। সে সময়ও গোটা শহরকে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। লাগানো হয়েছিল পোস্টার-ব্যানার। কিন্তু কখনওই নামের পাশে নেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়নি।
সম্প্রতি অসমে কংগ্রেস দলে নতুন করে শুরু হওয়া গোষ্ঠী রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্তের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হিরণ্য বরা, বলিন কুলির মতো প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের একাংশ। সেই বিতর্ক শেষ হতে না হতেই করিমগঞ্জে তফসিল জাতি সেলের চেয়ারম্যানের ব্যানার নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল। করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক চন্দন পাল, রাজা দত্ত বণিক বলেন, ‘‘এ রকম ব্যানার তাঁদের জীবনে এই প্রথম দেখছেন। করিমগঞ্জে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির নেতারাও এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের নামের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার উল্লেখ ছিল না।’’ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সতু রায় বলেন, ‘‘আজ ইন্দিরা ভবনের অনুষ্ঠান করিমগঞ্জের তফসিল জাতি বিষয়ক সেল পরিচালনা করেছে। ব্যানারগুলি তাঁরাই লাগিয়েছেন। জেলা কংগ্রেস এ বিষয়ে মোটেও অবহিত নয়।’’ তিনি বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মাত্র। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করাটা ঠিক হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy