—প্রতীকী চিত্র।
ডাক্তারি পাশ করা ইন্টার্নদের এক সপ্তাহের জন্য আয়ুষ বিভাগে বাধ্যতামূলক নিয়োগের প্রতিবাদে সরব হল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। মূলত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের নিয়ে গড়া দেশের বৃহত্তম চিকিৎসক সংগঠনের বক্তব্য, আয়ুষ ও অ্যালোপ্যাথি— চিকিৎসার এই দুই ধারার মিশ্রণে আখেরে খিচুড়ি ডাক্তার তৈরি হবে। অবিলম্বে ওই ইন্টার্নশিপ বাতিলের দাবি তুলেছে আইএমএ।
এমবিবিএস পাশ করার পরে হবু চিকিৎসকদের এক বছরের ইন্টার্নশিপ করতে হয়। সম্প্রতি জাতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিল (এনএমসি) ইন্টার্নশিপের যে খসড়া প্রস্তাব সামনে এনেছে, তাতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কলেজে যদি হোমিয়োপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, যোগ ও নেচারোপ্যাথি, ইউনানি কিংবা সিদ্ধার মতো বিষয় (অর্থাৎ আয়ুষ) থাকে, তা হলে ইন্টার্নদের সেই শাখাতেও যুক্ত থাকতে হবে এক সপ্তাহের জন্য। বিষয়টি সামনে আসতেই আপত্তি জানায় চিকিৎসকদের বড় অংশ। আজ এ নিয়ে এনএমসি-র কাছে চিঠি লেখেন আইএমএ প্রধান জে এ জয়লাল। তাঁর দাবি, ‘‘ইন্টার্নশিপের ওই এক বছরে কোনও চিকিৎসক চার বছরে যা শিখেছেন, তা হাতে-কলমে ঝালিয়ে নেন। মেডিক্যালের পড়ুয়াদের যে-হেতু স্নাতক পর্যায়ে আয়ুষ সংক্রান্ত কোনও পঠন-পাঠন নেই, তাই ইন্টার্নশিপের সময়ে আয়ুষ বিভাগে তাঁদের নিয়োগ করাটা অর্থহীন।, হঠাৎ করে আয়ুষের মতো বিষয়ে চর্চায় উল্টে ‘মিক্সোপ্যাথি’ হয়ে যেতে পারে।’’
চিঠিতে বলা হয়েছে, আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতি একটি স্বতন্ত্র বিষয়। তাই এক সপ্তাহ সেই দফতরে কাজ করে চিকিৎসকদের পক্ষে আদৌ নতুন কিছু শেখা সম্ভব কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
আইএমএ প্রধানের কটাক্ষ, ‘‘এর পরে কি চিকিৎসকদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এক সপ্তাহের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কৃষিবিজ্ঞানকেও জুড়ে দেওয়া হবে? পরিবর্তে ইন্টার্নশিপে ফ্যামিলি মেডিসিন ও বায়োএথিক্সের মতো বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করুক এমএনসি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy