ডান্স বারের উপর মহারাষ্ট্র সরকারের চাপানো নিষেধাজ্ঞায় আগেই স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে রাজ্যে বিধিনিষেধের গেরোয় ডান্স বারের লাইসেন্স মেলা দুষ্কর। এ নিয়েই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার তার শুনানিতে বিচারপতিরা জানান, ‘‘এটা ২০১৬। এ যুগে নাচ পেশা হিসেবেই স্বীকৃত। রাস্তায় ভিক্ষে করা বা বাজে কাজে জড়িয়ে পড়ার চেয়ে অন্তত নাচা ভাল।’’
সুপ্রিম কোর্টে যিনি আবেদন জানিয়েছেন তাঁর অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে ডান্স বারের ভিতরে যা হয় সেটা নাচ নয়, বরং অশ্লীলতা। আর তাই তা খোলার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। এই যুক্তি দেখিয়েই ২০০৫ সালে রাজ্যের ডান্স বারগুলির লাইসেন্স সাসপেন্ড করে দিয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। কিন্তু হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট— পরে দুই আদালতই এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা তাঁদের শেষ রায়ে এ বছর ১৫ মার্চের মধ্যে ডান্স বারগুলিকে লাইসেন্স দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফডণবীসের সরকারকে। কিন্তু রেস্তোরাঁ ও বার মালিকদের সংগঠনের পাল্টা দাবি, এ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ১২০০টি বার লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানালেও তা পায়নি। তার মধ্যে মুম্বইয়ের মোটে ৩৯টি ডান্স বারে ঘুরে গিয়েছেন সরকারি পরিদর্শকরা। কিন্তু ছাড়পত্র আসেনি এক জনের কাছেও।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মহারাষ্ট্র সরকার কী ভাবে এই অতিসক্রিয়তা দেখায়, আজ তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি দীপক মিশ্র ও শিবকীর্তি সিংহ। সরকারের নতুন কিছু কড়াকড়িরও এ দিন সমালোচনা করেছেন তাঁরা। যেমন মহারাষ্ট্র সরকারের নয়া নির্দেশে রয়েছে— স্কুল বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে খোলা যাবে না কোনও ডান্স বার, মদ্যপান চলবে না সেখানে, মঞ্চ থেকে দর্শকদের বসার জায়গা কিছুটা দূরে করতে হবে, অশ্লীল কিছু হচ্ছে কিনা লাইভ ভিডিওর মারফত থানা থেকেই দেখতে পাবে পুলিশ। শেষ নির্দেশটি আগেই খারিজ করে কোর্ট জানিয়েছিল, ডান্স বারের ভিতরে যথেষ্ট পরিমাণে সিসিটিভি লাগালেই হবে, থানায় তার সরাসরি
সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই। সোমবার বাকি নির্দেশগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটির জন্যও ফডণবীস সরকারকে একহাত নিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। মদ বন্ধ প্রসঙ্গে বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘‘সেটা কী ভাবে সম্ভব? গোটা রাজ্যে কি আপনারা মদ বন্ধ করেছেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy