অসহায়: আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের আসর বসবে দিল্লিতে। তার আগে পরিকাঠামোগত নানা নির্মাণকাজ চলছে রাজধানীতে। সেই জন্য দিল্লির রাস্তা থেকে বহু গৃহহীনকে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে। শীতের রাতে তাঁদেরই একাংশ সরকারি আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই পাওয়ার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন খোলা আকাশের নীচে। শুক্রবার। পিিটআই
সামনেই জি-২০ সম্মেলন। তাই দিল্লির কাশ্মীর গেটের কাছে হনুমান মন্দির এলাকা থেকে ভিক্ষাজীবীদের সরানোর সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি নগর আশ্রয় উন্নয়ন পর্ষদ। পর্ষদ জানিয়েছে, ওই ভিক্ষাজীবীদের পর্ষদের তৈরি রাতের আশ্রয়স্থলে সরানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী (অরবিন্দ কেজরীওয়াল) এই নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লি নগর আশ্রয় উন্নয়ন পর্ষদের নির্দেশিকার ফলে হনুমান মন্দিরের কাছে থাকা ভিক্ষাজীবীদের সরানো নিয়ে আগামিকাল বৈঠকে বসবেন পর্ষদ, দিল্লি পুলিশ, দিল্লি সরকারের সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা। দিল্লি নগর উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য বিপিন রাই বলেন, ‘‘প্রথমত ওই ভিক্ষাজীবীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। স্থির করা হবে তাঁদের সংখ্যা। তাঁদের পরিবারের সদস্য সংখ্যাও নির্ধারণ করা হবে। নগর আশ্রয় উন্নয়ন পর্ষদের আশ্রয়ে যে সব সুবিধে দেওয়া হয় সেগুলি ওই ভিক্ষাজীবীদের দেওয়া হবে।’’
পরিকল্পনা নিয়ে অবশ্য শোনা যাচ্ছে সমালোচনার সুরও। গৃহহীনদের জাতীয় মঞ্চের আহ্বায়ক সুনীলকুমার আলেডিয়ার বক্তব্য, ‘‘জি-২০ সম্মেলনের সময়ে ওই এলাকা পরিষ্কার রাখতে ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের সরাতেই এই সিদ্ধান্ত।’’ তাঁর মতে, হাই কোর্ট ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধের তকমামুক্ত করেছে। ফলে এ জন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। কাউকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোনও এলাকা থেকে সরানোও আদালতের সেই নির্দেশের পরিপন্থী। কিন্তু সরকারের উচিত সমাজকল্যাণ প্রকল্পের অধীনে দল তৈরি করে ভিক্ষাজীবীদের বোঝানো। যাতে তাঁরা ওই পথ ছেড়ে সরে আসেন। আলেডিয়ার বক্তব্য, ‘‘বম্বে ভিক্ষাবৃত্তি রোধ আইন দিল্লিতেও প্রযোজ্য। ওই আইনের অধীনে ভিক্ষাবৃত্তি রোধের জন্য পরিকল্পনা তৈরি সমাজকল্যাণ দফতরের অঙ্গ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy