কেন্দ্রের উদ্যোগে গুজরাতের গাঁধীনগরে শুক্রবার থেকে তিন দিনের জন্য বসছে বড়সড় আন্তর্জাতিক বস্ত্রমেলা (টেক্সটাইল ইন্ডিয়া)। বস্ত্র ও হস্তশিল্পের দক্ষ কারিগররাই এই মেলায় পশ্চিমবঙ্গের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’।
একই ছাতার নীচেয় রাজ্যের যাবতীয় বস্ত্র ও হস্তশিল্পগুলির পসরা মেলে ধরতে মেলায় প্রায় ১৮০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে থাকছে ‘বিশ্ব বাংলা’-র স্টল। সেখানে থাকবে শান্তিপুরি, ধনিয়াখালি, বেগমপুরি থেকে জামদানি, টাঙ্গাইল,বালুচরি, কাঁথা স্টিচ, গরদ, বাটিক-সহ নানা ধরনের শাড়ি। বাংলার ঐতিহ্যমণ্ডিত শাড়িগুলির ইতিহাস এবং তার শিল্পীদের সম্পর্কে তথ্য ও ছবি আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের মধ্যে বিলি করা হবে।
‘বিশ্ব বাংলা’-র মুখ্য উপদেষ্টা পার্থ করের কথায়, এমন ভাবে বাংলার সমস্ত বস্ত্র-পণ্যকে ব্র্যান্ডিং করা হবে যাতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বস্ত্রশিল্পে পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীন ইতিহাস জানতে পারেন। আন্তর্জাতিক মহলে শিল্পীর স্বীকৃতি আদায়ই এই মেলায় অংশগ্রহণের অন্যতম উদ্দেশ্য। কারণ তা থেকেই রাজ্যের বরাত খুলতে পারে। পার্থবাবুর বক্তব্য, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে ঐতিহ্যবাহী শিল্পের কদর বেশি। বিশেষ করে ইউরোপ, আমেরিকায় এই ধরনের বস্ত্রশিল্পের ভাল চাহিদা রয়েছে।
ভারতে এই প্রথম এত বড় আকারের বস্ত্রমেলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩০ জুন এই মেলার উদ্বোধন করবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক ও অস্ট্রেলিয়া থেকে বস্ত্রশিল্পের সম্ভার নিয়ে আসছেন তাদের দেশের প্রতিনিধিরা। তিন দিনের মেলায় আসবেন হাজার দুয়েক আন্তর্জাতিক ক্রেতা।
পশ্চিমবঙ্গ যাতে এই মেলায় অংশগ্রহণ করে, সে জন্য কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন অনুরোধ করেন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ‘বিশ্ব বাংলা’কে সামনে রেখে বাংলার বস্ত্র সম্ভারকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার পরিকল্পনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy