Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Domestic Violence

স্বামীর সঙ্গে বেঙ্গালুরু ছাড়তে নারাজ! চপারের কোপে স্ত্রীর ডান কব্জি কেটে নিলেন অটোচালক!

স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে বেঙ্গালুরুর এক অটোচালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।

Representational Image of crime scene

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। এই সন্দেহের বশেই স্বামী তাঁকে কোপ মারেন বলে অভিযোগ স্ত্রীর। প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ১৯:৩৩
Share: Save:

বেঙ্গালুরু শহর ছেড়ে স্বামীর গ্রামের বাড়িতে বসবাস করায় নারাজ ছিলেন স্ত্রী। অভিযোগ, সেই রাগে চপার দিয়ে স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি কেটে নিলেন এক অটোচালক। স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ওই অটোচালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। এই অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা রেণু খাতুনের ঘটনার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ডের কাছে নল্লুরহলি এলাকার বাসিন্দা তায়াম্মার ডান কব্জিতে চপারের কোপ মেরেছেন বলে অভিযুক্ত তাঁর স্বামী বীরেশ। ৩৭ বছরের তায়াম্মাকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পুলিশের কাছে তায়াম্মা জানিয়েছেন, ১৮ বছর আগে বীরেশের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল। তার পর থেকে বেঙ্গালুরুতে স্বামী এবং দু’সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন। শহরের একটি বেসরকারি সংস্থায় হাউসকিপিংয়ের কাজ করেন তিনি। তবে সম্প্রতি সংসারের খরচ সামলাতে নাভিশ্বাস উঠছিল তাঁদের। শহর ছেড়ে অন্ধপ্রদেশে তাঁর গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বীরেশ। তায়াম্মার দাবি, ছেলেমেয়ের পড়াশোনায় ক্ষতি হবে বলে স্বামীর প্রস্তাবে রাজি হননি। তবে বীরেশের সন্দেহ ছিল, তিনি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েক মাস আগে তাঁর সোনার গয়নাগাঁটি নিয়ে একাই গ্রামের বাড়িতে চলে যান বীরেশ। গত শনিবার বীরেশ বাড়ি ফিরলে গয়না চেয়েও পাননি। রবিবার সন্ধ্যায় আবার গয়নার কথা জানতে চাইলে তাঁর হাতে-পায়ে চপারের কোপ মারতে থাকেন বীরেশ। সে সময়ই তাঁর ডান কব্জি কেটে নেন স্বামী।

অভিযুক্ত পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে খোঁজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় গত বছরের জুনে কেতুগ্রামের রেণু খাতুনের ডান কব্জি কেটে নেওয়ার ঘটনায় সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। নার্স হিসাবে সরকারি চাকরিতে যাতে যোগ দিতে না পারেন, সে জন্য ঘুমন্ত রেণুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী শের মহম্মদ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পর নিজের চেষ্টায় বাঁ-হাতে লেখা শুরু করেছিলেন রেণু। তবে তায়াম্মা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Domestic Violence Crime Bengaluru
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE