প্রতীকী ছবি। ছবি সংগৃহীত।
স্বামীকে হত্যার অভিযোগে ২৮ বছরের এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রেমিকের সহায়তায় খুন করেছেন স্বামীকে। শুধু তা-ই নয়, আগাম পরিকল্পনা করে ভাড়াটে খুনিকে এক লক্ষ টাকা দিয়ে এই কাজ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কর্নাটকের নন্দাগুড়ি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে দেহটি রাজ্যের কোলাক জেলার চাম্বি গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ নামের এক ব্যক্তির, যিনি কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তদন্তের সূত্রেই তাঁর স্ত্রী চিত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় তাঁকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, আনন্দ পেশায় ট্রাকচালক। কিছু বছর আগে তাঁর সঙ্গে চিত্রার বিয়ে হয়। কিন্তু প্রতিবেশী চলপতির সঙ্গে স্ত্রীয়ের সম্পর্ক আছে, এই সন্দেহে ওই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মত্ত অবস্থায় প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন আনন্দ। ঘটনাচক্রে, চলপতির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে কিছু দিন আগেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিত্রা। পরে অবশ্য তাঁদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার পরই দু’জনে মিলে আনন্দকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনামাফিক চলপতির ভাইয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মূলত সেই ব্যক্তির সহায়তাতেই ভাড়াটে খুনিকে খুনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আনন্দকে খুনের জন্য এক লক্ষ টাকায় রফা হয়। পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন চলপতি এবং চিত্রাও। চলপতি-সহ আরও চার জনকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy